কবি পরিবারের সহকারী আবেদ আজম জানান, শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
গত শনিবার রাতে অসুস্থতার কারণে কবি আল মাহমুদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবদুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ, যিনি আল মাহমুদ নামে পরিচিত, তিনি বাংলাদেশের একজন প্রধানতম কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোট গল্প লেখক।
উনিশ শতকে আল মাহমুদ সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি হিসেবে আবির্ভূত হন।
১৯৫০ এর দশকে বাঙলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নির্যাতনের ঘটনা, এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মতো ঘটনাগুলো তার লেখালেখিতে ফুটে উঠে।
কবি আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিকটবর্তী ওই গ্রামে শৈশব ও মাধ্যমিক শিক্ষার দিন কাটান তিনি।
আল মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৩ সালে তার লোক লোকান্তর গ্রন্থ প্রকাশ হওয়ার পর তিনি ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং কবি জসিম উদ্দিন পুরস্কারে ভূষিত হন।