সোমবার দুপুরে সেতু ভবনের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কাজের সুবিধার জন্য অনেক সময় মন্ত্রিপরিষদ পুনর্বিন্যাস ও পুনর্গঠন হয়ে থাকে, সময়ের প্রয়োজনেও হয়ে থাকে। এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’
সরকার গঠনের পাঁচ মাসের মধ্যে রবিবার মন্ত্রিপরিষদ পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়।
দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার পর এখন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে আর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন।
অপরদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগের আর প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার অনুপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের কাজ থেমে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ এগিয়ে গেছে। মন্ত্রিপরিষদের কাজের গতিও বাড়ছে।
নিজের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে অসুস্থতাজনিত কারণে কিছুটা দুর্বলতার মধ্যে আছি। আশা করছি দ্রুত আমার কাজের গতি ফিরে পাবো।’
‘মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়, সেটা আমি নিজেই জীবিত অবস্থায় দেখলাম, এটা আমাকে নতুন করে উৎসাহিত করবে, অনুপ্রাণিত করবে,’ যোগ করেন তিনি।
গত ৩ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করার পর তার করোনারি ধমনীতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
গত ২ এপ্রিল ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে অবস্থান করে ফলোআপ চিকিৎসা শেষে ১৫ মে দেশে ফেরেন সেতুমন্ত্রী।