তিনি বলেন, ‘তারা (কাদিয়ানি) মুসলমান নয়, তারা অমুসলিম। তাদেরকে যারা অমুসলিম মনে করেন না, তারাও অমুসলিম। কাদিয়ানিরা আমাদের শেষ নবীকে মানেন না, সুতরাং তারা কাফের। যারা তাদের কাফের মানেন না, তারাও কাফের।’
মঙ্গলবার বিকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম মাঠে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা শফী বলেন, কাদিয়ানি ছেলেদের সাথে মুসলমানদের কোনো মেয়েকে বিয়ে দেবেন না, কাদিয়ানি মেয়েদেরকেও কোনো মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করাবেন না। কাদিয়ানিদের মুসলমান কবরস্থানে দাফন করা যাবে না।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে আনাস মাদানী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নামে একজন ব্যক্তি নিজেকে নবী দাবি করেছে। সে কাফের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।’ বাংলাদেশেও ১৯৯৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে এরা কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। অবিলম্বে এই রায়কে কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
শফী বলেন, মুসলিম পরিচয়ে কাদিয়ানিরা এই দেশে বসবাস করতে পারবে না। এ দেশে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে সংখ্যালঘু হিসেবে থাকতে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
‘কাদিয়ানিরা ছাড়াও কয়েকটি সম্প্রদায় ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। এদের মধ্যে আহমদ রেজা খান দেহলভির রেযাখানি ফেরকা, আবুল আলা মওদুদির মওদুদি মতবাদ, লা মাযহাবী ও আহলে হাদিসের বিশ্বাসীরা, তাবলীগ জামাতের সাদপন্থি মতবাদ এবং খৃষ্টান মিশনারীদের অন্তর্ভুক্তরা ইসলামের নামে ধোকা দিচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
কাদিয়ানিদেরকে সমর্থন করার জন্য তিনি ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এ সম্পর্কে তার দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ইন্টারন্যশনাল খতমে নবুওয়াতের বাংলাদেশ আমির মাহমুদুল হাসান মনতাজী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ড. আসম শোয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে পঞ্চগড়সহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি স্টেডিয়াম মাঠে জড়ো হন।