কুষ্টিয়ায় নিহত খোকন আলী ওরফে হাতকাটা ঠান্ডু (৪৫) সদর উপজলার আলামপুর ইউনিয়নের পুকুরপাড়া এলাকার মৃত আইজাল আলীর ছেলে এবং কক্সবাজারে নিহত জিয়াউর রহমান জিয়া (৩২) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার মোঃ ইসলামের ছেলে।
পুলিশের দাবি, কুষ্টিয়ায় নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য আর টেকনাফে নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী। তারা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ মারা যায়। তবে কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হবার কথাও জানায় পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাছির উদ্দিনের ভাষ্য, আধিপত্য নিয়ে সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানাল পাড়ায় ডাকাতদের দুই দলের মধ্যে রাত দেড়টার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়।
‘পরে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত খোকন আলী ওরফে হাতকাটা ঠান্ডুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন’, বলেন ওসি।
তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদশি পিস্তল ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ডাকাতদলের ছোড়া গুলিতে তাদের ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, রবিবার ভোরে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার মেরিন ড্রাইভ সড়ক এলাকায় ইয়াবা খালাস নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ।
‘পরে ইয়াবা কারবারীরা পিছু হটলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন’, বলেন ওসি।
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশি তৈরি অস্ত্র ও ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করার কথাও জানান তিনি।