আইনশৃঙ্খলা
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৫৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢিলেঢালাভাবে চলছে সর্বশেষ অবরোধ
বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, বাকি ১৩৪ প্লাটুন বিজিবি অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষ দিক থেকে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল পালন শুরু করার পর থেকে আধাসামরিক এই বাহিনীর সদস্যরা দেশের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো এই অবরোধের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: নবম দফার অবরোধ: ১৬২ প্লাটুন বিজিবি, ৪৩৫ র্যাবের টহল দল মোতায়েন
সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চলমান অবরোধের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অবরোধ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা ও আশপাশের পোশাক কারখানায় ৩২ প্লাটুন এবং বাকি ১৯৭ প্লাটুন বিজিবি সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথে অবরোধ চলছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ২১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
অবরোধ: সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলতেই পুলিশের উপর হামলা: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপি-জামায়াত জোটকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব হামলা আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে।
সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি বিএনপির এক নেতার প্রকাশ্যে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন, যিনি ২৮ অক্টোবর বিএনপির ক্যাডারদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যার 'প্রকাশ্যে প্রশংসা' করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
সজীব ওয়াজেদ জয় ২৮ অক্টোবর বিএনপির ক্যাডারদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তার হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং বিএনপির এক নেতা পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যার ‘প্রকাশ্যে প্রশংসা’ করে সাম্প্রতিক জনসমক্ষে দেওয়া মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
নিজের ভেরিফাইড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো @বিএপি৭৮ (বিএনপির) ছাত্রসংগঠনের পিকেটাররা তাদের চলমান অবরোধ' সফল করতে পুলিশের একটি ভ্যানে ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
তিনি লিখেছেন, কয়েকদিন আগে উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডাররা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে, একটি পুলিশ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং শতাধিক কর্মকর্তাকে আহত করে।
সজীব ওয়াজেদের টুইটে বলা হয়, ‘পুলিশ কর্মকর্তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে বিএপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তাদের অনুষ্ঠানকে সফল করেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর নৃশংস হামলার সংবাদ সংকলন করে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আট মাস ধরে দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ ও অবরোধে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা অন্তত ৯০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির যে কোনো অপচেষ্টা কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
আইজিপি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। যদি কেউ এটি করার চেষ্টা করে, তবে পুলিশ অতীতের মতোই তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, পুলিশ তাদের শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজি কামরুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তৎপর থাকায় পুরো জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে যে প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট বিকৃত যুবকরা জনমনে উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
তিনি বলেন, ‘এই দানবরা তাদের আক্রমণ থেকে নারীসহ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না…আমরা এমন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে বোনদের উত্যক্ত করার বিচার চাইতে গেলে তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানবাধিকার এখন সর্বত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য সহিংস হামলা চালাচ্ছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে; তাই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’
বাজার মনিটরিং করতে এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির এই নেতা সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গডফাদার, মাফিয়া ও সিন্ডিকেটররা চারিদিকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকায় এসব সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের অসাধুতার কারণে বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ‘কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে। এই ধরনের সিন্ডিকেশন শুধুমাত্র একটি দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতিবাজ সরকারের অধীনেই সম্ভব। তারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মজা করে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, দেশের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যেই সন্ত্রাস, চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে তার সক্ষমতা দেখিয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ প্রতিরোধ সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ’- শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহাইড ইচিগুচি।
জাপানকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, জাইকা পরিচালিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতেও প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কোর্স পরিচালনা করা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, এর ফলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করা হবে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর 'জনগণের পুলিশ' গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের একটি বিশেষ দিক হলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তার বোধ তৈরি করা। যা তাদেরকে ভবিষ্যতে ভালো নাগরিক হতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, মহাখালী আব্দুল আজিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে: আইজিপি
অপরাধীরা ভালো পথে আসতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হবে: আইজিপি
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সিটি করপোরেশনসহ সকল নির্বাচনের দায়িত্ব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্ষম আছে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অর্পিত যে-কোনো দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে পুলিশ প্রস্তুত আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে পুলিশ সকলকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নিরূপণে সক্ষম হয়েছে।
গুজব নিরসনে পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে কেউ গুজব রটানোর অপচেষ্টা করলে প্রচলিত আইনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি
প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে: আইজিপি
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা খর্ব করা যাবে না: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার সমস্যা মোকাবিলা করা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা খর্ব করা যাবে না।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা এবং উদ্বেগ’- শীর্ষক সিনিয়র পর্যায়ের সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের জন্য দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টার সমন্বয় করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স আয়োজিত সংলাপটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শাহাব এনাম খান।
সেক্রেটারি, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট (এমএইউ) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হুসাইন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুগুলো সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি যোগ দেয়ার বিষয় না। এটি কিছু নীতির ওপর নির্ভর করে এবং এ বিষেয়ে কোনও ভুল ধারণা থাকলে তা দূর করা দরকার।
দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
চলতি বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির পলায়ন এবং এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারাকে ‘ব্যর্থতা’ বলেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
শনিবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে র্যাব মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করি। দুই জঙ্গি পালিয়ে গেছে; আমরা এটা অস্বীকার করছি না। দুই জঙ্গি (আদালত থেকে) এভাবে পালিয়ে যাওয়ায় এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
আরও পড়ুন:আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল, এবং আমরা এখনও তাদের খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল ইসলামের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০ নভেম্বর জঙ্গিদের সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পিটিয়ে এবং চোখে কিছু রাসায়নিক ছিটিয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে তাদের নিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:পুলিশ হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর দায় এড়াতে পারে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব