আইনশৃঙ্খলা
সিলেটে ৩০ অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ
পরিবেশ সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় অবৈধ স্টোন ক্রাশিং (পাথর ভাঙার) মেশিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযানের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে অবৈধভাবে পরিচালিত ৩০টি স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘অভিযানের সময় অবৈধ ৩০টি স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি মেশিনগুলো ব্যবসায়ীরা সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে না সরালে আমরা ফের অভিযান পরিচালনা করব।’
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যারা জায়গা ভাড়া দিয়ে অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপনে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কাজ করতে চাই, তবে অনেক সময় মাববিক বিষয়ও সামনে আসে। এজন্য ব্যবসায়ীদের বাকি মিলগুলো সরিয়ে নিতে দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ধোপাগুল এলাকায় স্থাপিত স্টোন ক্রাশিং মেশিনের কারণে ওই এলাকার পরিবেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
এছাড়া, এর পাশেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এ এলাকায় স্থাপিত অধিকাংশ স্টোন ক্রাশিং মেশিনের কোনো লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপন নীতিমালা, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) অনুসরণ না করেই অবৈধভাবে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিদর্শক মামুনুর রশীদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ, উত্তরগাছ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সিলেট জেলার অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
১ সপ্তাহ আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। পরে আর্মি মেডিকেল কলেজের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ বৃক্ষরোপণ করেন।
এছাড়াও সব পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান তার বক্তব্যের শুরুতে শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের মৃত্যুতে মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশের সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার জন্য গর্বিত।
এরপর দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন সেনাপ্রধান।
পরে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি রিজিয়নের নানিয়ারচর জোন সদর পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা দেওয়াসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসিসহ সেনাসদর ও চট্টগ্রাম এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যারা ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাঙ্গামাটির রিজিয়নের প্রান্তিক হলে বিগত দুই দিনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করব। আইনশৃঙ্খলা কোনো অবস্থায় অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে, তাদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না।’
আইনশৃঙ্খলা উন্নতির জন্য সব সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। পাহাড়ে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেজন্য তিনি জনগণদের বোঝানোর জন্যও বলেন।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি চাই কিন্তু সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা যাতে পাহাড়কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকে হবে।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, রাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসনের ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। অপর দিকে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলমান। সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ও যানবাহনের ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটিতে সবকটি সড়ক ও নৌ পথে সব ধরনের যানবাহন ও নৌ পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। শহরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে দিনরাত পরিশ্রম করছি: প্রধান উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিনরাত পরিশ্রম করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরের বেদনা জানিয়ে তার প্রতিকার পেতে কিছু মানুষ প্রতিদিন ঘেরাও কর্মসূচি দিচ্ছেন। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দিলেও আবারও তাদের কর্মসূচি দিয়ে যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন। ব্যাঘাত সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
ইউনূস বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ন্যায্য আবেদনের কথা ভুলে যাব না। আমরা সব অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের দায়িত্বকালে যথাসম্ভব সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প এসব এলাকায় শ্রমিক ভাইবোনেরা তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য ক্রমাগতভাবে এই শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন। এটা আমাদের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিপ্লবের পর যে অর্থনীতি আমরা পেয়েছি সেটা নিয়ম নীতিবিহীন দ্রুত ক্ষীয়মাণ একটা অর্থনীতি। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা এই অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করছি।’
এই সময়ে আমাদের শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে, অকার্যকর হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত পড়বে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইবোনদের দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের মূল জীবিকাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সেটা ঠিক হবে না। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেটা ঠিক হবে না। মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই বের করব।
শ্রমিকদের উদ্দেশে ইউনূস বলেন, আপনারা কারখানা খোলা রাখুন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখুন। দেশের অর্থনীতিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দিন। আমরা আপনাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। অর্থনীতির দুর্বল স্বাস্থ্যকে সবল করে তুলতে মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে কারখানা সচল রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ওষুধ শিল্প ও তৈরি পোশাক শিল্প দেশের গৗরব উল্লেখ করে এই দুই শিল্পকে তাদের সম্ভাব্য শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এই দুই শিল্পের কোথায় কোথায় বাধা আছে, সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করে তাকে বাধা মুক্ত করতে চাই। আমরা বিদেশি ক্রেতাদের একত্রিত করে তাদের সহযোগিতা চাইব যেন বাংলাদেশের এই শিল্প দুটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি আস্থাশীল হয়ে উঠতে পারে।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সরকারের প্রথম মাস কাটল। দ্বিতীয় মাস থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হিসেবে নতুন শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের সূচনা করতে চাই। এটা দেশের সবার কাম্য। দেশের নতুন প্রজন্ম নির্ভয়ে যেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তুলতে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজে আমাদের হাত দিতে হবে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এরমধ্যে হত্যা মামলা ছাড়া বাকি প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার সবাই মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগের বড় সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। যোগ্যতম ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়াতে মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগসহ অনেকগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়োগ সবকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্ত্রাস দমন আইন ও ডিজিটাল/সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ বহুল আলোচিত ৫টি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির জন্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
৩ মাস আগে
মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন মাজারে হামলা হচ্ছে। তাই মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শাহ পরানে যে হামলা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কোনো ধরনের যেন হামলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে কারাগারের বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, এবার সারাদেশে পূজামণ্ডপ হবে ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি এবং ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮৮টি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর পূজামণ্ডপ ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১টি। তবে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা আরও বাড়বে। পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পুরো তালিকাটা এখনও দিতে পারেননি।
উপদেষ্টা বলেন, পূজামণ্ডপগুলোতে কীভাবে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
এছাড়া নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন এবং দুষ্কৃতকারীদের অশুভ তৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ। এবারের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগটি ভিন্ন হবে। বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকদের মধ্য থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালনের সময় বেঁধে দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা (প্রতিটি মণ্ডপে) দিনে ২ জন ও রাতে ৩ জন থাকতে হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র-মাইক বন্ধ রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মাসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশে সব বিদেশি নাগরিকের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে এই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। গণঅভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ফলে বিদায়ী সরকারের প্রতি জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজমান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঠিক সেই সময়ে কিছু অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।
প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, সরকার সকলকে আশ্বস্ত করতে চায় যে, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। সকল মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। সরকার সকল দুষ্কৃতিকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে, কোনভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আন্তরিক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৩ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে আরও উন্নতি করা যায় এ বিষয়ে আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপও নেব।’
তিনি বলেন, এটি ছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা। আমরা মূলত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক আমাদের একটি বড় ধরনের সমস্যা, মাদক কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? মাদকের নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য জরুরি। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। যাতে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। যাতে মাদকদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে পারি।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত-ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন আজকে কিন্তু অবৈধ ও বৈধ সর্বস্ত জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হবে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য।
তিনি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করছি, পূজাটা খুব ভালোভাবে হয়ে যাবে। কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের একটু সমস্যা আছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপগুলো কি, সেটা আপনারা অনগ্রাউন্ড দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
৩ মাস আগে
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) ‘কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস’ ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছি। বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছিল।’
মাইনুল হাসান বলেন, ডিএমপিসহ সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য আহত এবং নিহত হয়েছেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। অনেক স্থানে আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ট্রাফিকের প্রায় সকল অফিস ও বক্স ভাঙচুর হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছে। ইতোপূর্বে এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনী হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করি যাতে পুলিশ সদস্যরা ভয় না পেয়ে দ্রুত কাজে ফিরে আসেন। কিন্তু ইতোমধ্যে কিছু উচ্চাবিলাসী ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাপক ক্ষোভ জন্মায় এবং নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি শুরু করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুযোগ্য নেতৃত্বে আইজিপি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমি নিজে রাজারবাগ ও মিরপুর পুলিশ লাইন্সসহ বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনায় যাই। তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কিছু দাবি তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। বাকিগুলো দ্রুততম সময়ে মেটানোর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেন এবং দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশে ব্যাপক রদবদল, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সংকটকালে ভগ্ন মনোবলের পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগদানের ভীতি দূর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে প্রতিটি থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়। তাদের উপস্থিতির ফলে ভীতসন্ত্রস্থ পুলিশ সদস্যসহ জনমনে আস্থা ফিরে আসে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটতে থাকে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল থানার কার্যক্রমসহ ট্রাফিক বিভাগ ও অন্যান্য সকল বিভাগের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সচল করতে সক্ষম হই। আমাদের এই সংকটকালে বিজিবি ও আনসার সদস্যরাও তাদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদেরকে দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্র-জনতাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুলিশের মনোবল বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ঢাকা আপনার-আমার-সকলের প্রিয় শহর। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যেখানে আছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ সবসময় আপনাদের পাশে আছে। একই সঙ্গে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী বীর শহীদ, আহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: নতুন ওসি পেল ডিএমপির ১৩ থানা
৩ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় খুলনায় ২২০০ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন
দেশে চলমান অস্থিরতায় এবং পুলিশের অনুপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে খুলনা জেলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ২ হাজার ২০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বীর নির্দেশে আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) আনসার ও ভিডিপি খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ের গণসংযোগ সমন্বয়কারী মো. ইসমাইল হোসেনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ২৫
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জেলার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা, থানা, জেলখানা, পাড়া/মহল্লায় নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ করেছেন উপমহাপরিচালক।
এতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুরক্ষিত রাখতে ৯০০ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং অস্থিরতা, চুরি ও ডাকাত প্রতিরোধে ১ হাজার ১০০ জন ভিডিপি সদস্য বিভিন্ন পাড়ায় টহল দিচ্ছেন।
এ ছাড়াও, ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে খুলনা শহরের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১১৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন হয়েছে। ৫০ জন সদস্যকে কারাগার নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া আনসার ব্যাটালিয়নের ২০ জন সদস্য এখন কয়রা ও ফুলতলা থানা পাহারা দিচ্ছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও বাসভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বাসভবন এবং সার্কিট হাউসের নিরাপত্তায় আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে খুলনা কারাগারের পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিলে প্রশাসনের অনুরোধে দ্রুত আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: ১১ দফা দাবিতে অনড় খুলনা পুলিশ, চলছে কর্মবিরতি
খুলনায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি ১২০০
৪ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন অগ্রাধিকার: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে দেশে ফিরেই নোবেলবিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন অগ্রাধিকার।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলাকে ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
এদিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে দেশে অধ্যাপক ড. ইউনূস, উষ্ণ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বরণ
বিমানবন্দরে নোবেলবিজয়ী এই অধ্যাপককে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
এ ছাড়াও অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ এবং ছাত্র প্রতিনিধিরাও বিমানবন্দরে ছিলেন।
প্যারিসে অলিম্পিকের আয়োজনে অংশ নিতে ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন ড. ইউনূস। সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তিনি সংকটকালে দেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সামরিক কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের নেতা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার পর ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
সোমবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের ও অন্যান্য সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: সেনাপ্রধান
৪ মাস আগে