নিহত ডাকাত সদস্য সেন্টু নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের হিরার ঝিল এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দোপারচর গ্রামে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড় থেকে ব্যাপারি পরিবহনের ওই বাস থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠায়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বাস যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ওই বাসটি রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রীজে পৌঁছায়। হঠাৎ করেই ১০/১২ জনের একদল ডাকাত বাসে উঠে পড়ে।
এ সময় বাসযাত্রী, শ্রমিক ও স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের প্রতিরোধ করে। তাদের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত দলের সদস্য সেন্টু ধরা পড়ে। অন্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গণপিটুনিতে সেন্টু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বাস শ্রমিক ও যাত্রীরা নিহত ডাকত সদস্যের লাশ গাড়িতে তুলে খুলনার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়।
গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ গোপান সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ওই বাসটি পুলিশ লাইন্সে থামিয়ে নিহত ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতাল মর্গে পাঠায়।
বাসটি আটক করে পুলিশ লাইন্সে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বাসযাত্রী ও শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।