এ সময়ের পর আর কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ আদেশটি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে তা আর নবায়ন করেনি এমন সব গাড়ির ব্যাপারে বিআরটিএর পক্ষ থেকে এক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদেশ প্রদানের আগে বিআরটিএর আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম সারাদেশে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। এসব গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এক বছরে ফিটনেস নবায়ন না করেই গাড়ি চালানোর দায়ে ৬ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে।
আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের পক্ষে সৈয়দ মামুন মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৪ জুন এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের তথ্য জানতে চায় হাইকোর্ট। আদালতের তলবে বিআরটিএ-এর পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী ওইদিন হাজির হওয়ার পর হাইকোর্টের এ বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে সারাদেশে থাকা রেজিস্ট্রেশনধারী ফিটনেসহীন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও এক মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও বিআরটিএ এর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে এ আদেশ পালন করতে বলা হয়।
গত ২৩ মার্চ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব আদালতের নজরে আনেন। এরপর ২৭ মার্চ আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।