বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ রেল লাইন উদ্বোধনের পর ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেনটি দুপুর পৌনে ২টায় যাত্রা শুরু করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঐতিহাসিক যাত্রায় যাত্রীদের বিনা পয়সায় বহন করা হয়। ফলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ট্রেনে চড়েন। এছাড়া ট্রেন চলাচল দেখতে ট্রেন লাইনের দুই পাশে উৎসুক জনতাও ভিড় করেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিঞা জানান, এ ট্রেনটি গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসা যাওয়া করবে।
তিনি আরও জানান, ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ আটটি কোচ ইঞ্জিন সজ্জিতকরণসহ গোপালগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে কাশিয়ানীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটির যাত্রা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ স্টেশনের আশপাশের রাস্তা ও স্টেশন এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয় ।
শুক্রবার থেকে দক্ষিণাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চল ছুটে ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছাবে। ট্রেনটি সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী অসীম কুমার তালুকদার, পাকশী বিভাগীয় দপ্তরের পরিবহন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২০ সদস্যের একটি দল ট্রেনে উদ্বোধনী যাত্রার সঙ্গী হন।
গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী রেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা জানান, এই রেল যাত্রার মধ্য দিয়ে সারাদেশের সাথে টুঙ্গিপাড়া এখন রেলওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলো। এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।