তারা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত ১৬টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, চট্টগ্রামকে মহানগরী ও জেলাকে দুইভাগে ভাগ করে ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীতে এবং ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন উপজেলায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- মীরসরাইয়ে মো. কায়সার খসরু, রাউজানে জোনায়েদ কবীর সোহাগ, পটিয়ায় সাব্বির রাহমান সানি, ফটিকছড়িতে মো. জানে আলম, আনোয়ারায় সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বোয়ালখালীতে একরামুল ছিদ্দিক, রাঙ্গুনিয়ায় পূর্বিতা চাকমা, চন্দনাইশে নিজাম উদ্দিন আহমেদ, লোহাগাড়ায় পদ্মাসন সিংহ, হাটহাজারীতে সম্রাট খীসা, বাঁশখালীতে সুজন চন্দ্র রায়, সাতকানিয়ায় রঞ্জন চন্দ্র দে, কর্ণফুলীতে আশরাফুল আলম এবং সন্দ্বীপে জিল্লুর রহমান।
মহানগরীতে থাকবেন- ফারহানা জাহান উপমা, ফোরকান এলাহি অনুপম, তাহমিলুর রহমান, সাবরিনা আফরিন মুস্তফা, এস এম শান্তুনু চৌধুরী, শারমিন আখতার, মাহফুজা জেরিন, রমিজ আলম, মারুফা বেগম নেলী, শান্তা রহমান, উজালা রানী চাকমা, তাহমিনা আক্তার এবং মাসুদ রানা।
চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, সংসদ নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে চট্টগ্রামে ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের সাজা দেবেন।
তিনি জানান, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তাকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দল লঙ্ঘন করলে তাদেরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি পালন করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন।