কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর হালিশহর আকমল আলী রোড এলাকায় খাল খনন করার সময় করতে গিয়ে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের রিং মেইল লাইন ফেটে গ্যাসের পাইপ লাইন ফেটে যায়। এতে এলাকায় প্রচণ্ড বেগে গ্যাস নির্গত হয়। ফলে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
রবিবার ভোর থেকে মেরামত কাজের জন্য পুনরায় নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, বন্দর, ইপিজেড পতেঙ্গা এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, উল্লেখিত এলাকা ছাড়াও নগরীর অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে গ্যাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন নগরীর হোটেল এবং রেস্টুরেন্টগুলোও। অনেকে রান্না করতে না পেরে হোটেলে গিয়ে খাবার কিনে আনছেন। গ্যাস না থাকায় খাবার হোটেলগুলোতেও রান্না করতে পারছেনা। ফলে সর্বত্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলি গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন বলেন, মেরামত কাজ শেষ করতে সময় লাগতে পারে। পাইপ লাইনটি মাটির প্রায় ১২ ফুট নিচে। এখন ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ বের করে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গ্যাস সংকটের কথা জানিয়ে হালিশহর এলাকার গৃহকত্রী আঞ্জুমান আরা বলেন, গত রাত থেকে গ্যাস নাই। তাই দোকান থেকে নাস্তা কিনে খেয়েছে পরিবারের সদস্যরা। হোটেলে গিয়ে খাবার পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাচ্চারা না খেয়েই স্কুলে চলে গেছে।
নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার ভুক্তভোগী এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, গ্যাস না থাকায় এমনিতে সমস্যায় আছি। ভিন্ন পন্থায় সকালে নাস্তা তৈরি করা হলেও ভারি খাবার বানানো যাচ্ছে না। এরপর গ্রাহকদের চাহিদাও বেড়ে গেছে। কিন্তু ভাত তরকারি না থাকায় আমরা বিক্রি করতে পারছি না।
কেজিডিসিএলের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, বিকালে মেরামতের কাজ শেষ হলে রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।