রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।
নিহত মোস্তফা কামাল (২৬) ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে পিতা আবু তাহের (৪০) এবং আবু তাহেরের ছেলে সোহাগ (২০)। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
পাঁচ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লুৎফর রহমানের অপর দুই ছেলে মো. আবুল কাশেম ও আবুল খায়ের এবং একই এলাকার হারুনুর রশিদ। তাদের তিনজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর জমি সংক্রান্ত বিবাদে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা কামালকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি আহত হন। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লিখিত আসামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার এসআই হারুনুর রশিদ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী মো. আমান উল্যাহ জানান, দীর্ঘদিন মামলাটি চলমান অবস্থায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। স্বাক্ষ্যপ্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের উপস্থিতিতে আজ আদালত রায় দেন।