বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহিদদের স্মরণে দূতাবাস প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এরপর তিনি ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এছাড়া শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জাপানের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও অন্যান্য অতিথিরা প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পাস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে শহিদ দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূত সকলের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন।
ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর উম্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মাতশুসিরো হরিগুচি। দিবসটির উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর জাপানি ভাষার অনুবাদক কাজুহিরো ওয়াতানাবে। তিনি ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে জাপান প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতা এবং প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এসময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।