ভুক্তভোগী গ্রাহকরা দুদকে অভিযোগ করেন, সার্ভারে ত্রুটির কারণে অনলাইনে তারা টিকিট কাটতে পারছেন না। মঙ্গলবার রাত থেকে দাঁড়িয়ে লাইনের একেবারে সামনে থাকা সত্ত্বেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সার্ভারে কারচুপি হয়ে থাকতে পারে জানিয়ে তারা দুদককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেন।
এ প্রেক্ষিতে দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কমলাপুর অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের সার্ভার রুমে অভিযান চালায়।
পরে দুদক টিম অনলাইনে টিকিট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস এর মহাপরিচালক শামীমুল আলমের সাথে কথা বলে।
তবে তিনি বলেন, প্রচুর গ্রাহকের চাপ থাকার কারণে সার্ভারে সমস্যা হচ্ছে।
দুদক টিম সার্ভারে কারচুপি/দুর্নীতির মাধ্যমে যেন টিকিট কেটে রাখা না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও টিম স্টেশন ম্যানেজারের সাথে কথা বলে এবং টিকিট কালোবাজারির বিষয়ে সতর্ক থাকতে তাকে অনুরোধ করে।
উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে আগামী ৩১ মের টিকিট বিক্রি করছে কর্তৃপক্ষ।
ঈদের বেশ কয়েকদিন আগের টিকিট হলেও আগাম টিকিট পেতে শত শত মানুষ রাজধানীর কমলাপুরসহ আরও চারটি রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় জমিয়েছে।
তবে গত বছরগুলোর চেয়ে চলতি বছরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। এ বছর কর্তৃপক্ষ রেলের টিকিট ক্রয়ের জন্য পাঁচটি স্টেশনে ভাগ করে দিয়েছেন। এজন্য টিকিট ক্রয় করতে আসা মানুষ কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তারপরও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিটটি ক্রয় করতে অনেকেই মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই কাউন্টারগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন। সকালেও বেশ কয়েকটি লম্বা লাইন দেখা যায়।
এদিকে স্টেশন ছাড়া মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়ের ব্যবস্থা থাকলেও প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে অনেকে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে, আজকের পর আগামী ২৩ মে ১ জুনের, ২৪ মে ২ জুনের, ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে ৪ জুনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এছাড়া আগামী ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের, ১ জুন ১০ জুনের ও ২ জুন ১১ জুনের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে এবং একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট কমলাপুর থেকে বিক্রি করা হবে এবং যারা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর টিকিট নিবেন, তাদের বিমানবন্দর স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
ময়মনসিংহ ও জামালাপুরের টিকিট তেজগাঁও স্টেশনে, নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ এবং হাওর এক্সপ্রেসের টিকিট বনানী স্টেশনে এবং সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকিট ফুলবাড়িয়ার পুরাতন রেলভবনে পাওয়া যাবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী বহন সামলাতে আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।