দুদক
পিরোজপুরে সিভিল সার্জনসহ ৪ ডাক্তার ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসাসামগ্রী) গরমিলে সত্যতা পাওয়ায় চার চিকিৎসক, স্টোরকিপার ও চার সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এ মামলা করেছেন বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ শেখ। শনিবার দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ড. আতিউর-বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার আসামিরা হলেন— হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট (গাইনি) ও সার্ভে কমিটির সভাপতি ডা. ফরাহানা রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, জুনিয়র কন্সালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা, হাসপাতালের স্টোরকিপার মো. আলামীন গাজী এবং ওষুধ সরবরাহকারী এস এম সামসুল আরেফীন (নাজিরপুর), মো. হানিফুল ইসলাম (ঢাকা), মো. জহিরুল ইসলাম (মাগুরা) ও মো. রাশেদুজ্জামান এরশাদ (মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওষুধ ও এমএসআর সরবরাহকারী চারটি প্রতিষ্ঠান পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওষুধ ও এমএসআর সরবারাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এ সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত চারটি প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রী সরবরাহ হয়েছে মর্মে সভাপতিসহ দুই সদস্যকে ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকার ওষুধ ও সামগ্রী বুঝে নিয়ে উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করে হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। কিন্তু দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালের স্টক রেজিস্ট্রার ও ওষুধ এবং এমএসআর সামগ্রীর বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করা হয়। নিরীক্ষাকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উল্লিখিত ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রী স্টক রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা স্টোরে পাওয়া যায়নি। গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের অভিযানে এ তথ্যপ্রাপ্তির পর গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই ঘাটতি পূরণের জন্য আসামিরা তা সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলকভাবে একটি ট্রাকে ওষুধ এনে তা স্টোরে মজুতের অপচেষ্টা করেন। সে সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ট্রাকটি জব্দ করে দুদক।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরে এসব অপরাধের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করে। এছাড়া পরবর্তী তদন্তে এজাহারে বর্ণিত অপরাধের সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা.মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। তবে এ বিষয়ে তদন্ত হলে আসল বিষয়টি উঠে আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
৫০ দিন আগে
দুর্নীতি মামলার আসামিকে দুদকে পদায়ন গ্রহণযোগ্য নয়: টিআইবি
দুর্নীতি মামলার আসামি আমিন আল পারভেজকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক হিসেবে পদায়নকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সরকারের ভেতর থেকেই দুর্নীতির সুরক্ষা ও দুদককে অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন তোলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি এই উদ্যোগের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত আমিন আল পারভেজের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। দুদকের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গণমাধ্যম সূত্র উল্লেখ করে টিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালে কক্সবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ভবন নির্মাণ ও ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমিন আল পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।মামলার সময় তিনি তখন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা দেওয়া না হয়: দুদক চেয়ারম্যান
দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমিন আল পারভেজ প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজে এবং অন্যদের অবৈধভাবে লাভবান করেছেন।
দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও দুদকের পরিচালক পদে তাকে নিয়োগ দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
কোন মানদন্ডে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন,‘ যেখানে দুদক সংস্কার কমিশন সুস্পষ্ট সুপারিশ করেছে যে, দুদকের অভ্যন্তরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করে ফৌজদারি বিচারে সোপর্দ করতে হবে। সেখানে এই পদায়ন কেন?‘
আরও পড়ুন: টিআইবি দুর্নীতি সূচকে ২ ধাপ অবনতি বাংলাদেশের
তিনি বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ নেতিবাচক বার্তা দেয়। এমনকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের অবস্থানকে দূর্বল করে বলে মত দেন তিনি। সরকারের এই উদ্যোগ দুদককে শক্তিশালী করার বদলে অকার্যকর করতে পারে বলে নিজের ধারণা প্রকাশ করেণ তিনি।
এছাড়াও এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রশাসনেই ষড়যন্ত্র বিদ্যমান—এই প্রশ্নও অমূলক নয় বলে অভিমত দেন তিনি।
৫৩ দিন আগে
দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা দেওয়া না হয়: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, সমঝোতার মাধ্যমে ঘটে যাওয়া অনেক বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগই দায়ের হয় না। বরং এগুলোকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। যার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তর প্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক, তারা খবর দেন না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আমরা আগে খবর পাই। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয় অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। সেটার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তর প্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক তারা খবর দেন না। আমাদের আবেদন থাকবে বড় দুর্নীতির নিউজ যেন বেশি বেশি সামনে আসে। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক তাতে কোনো সমস্যা নেই।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যেন দুর্নীতির খবর ধামাচাপা না দেই, না লুকাই। জেলা প্রশাসকরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তারা এটা নিয়ে কাজ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক জেলায় কার্যালয় নেই। সেটা সত্যি। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির সম্মুখীন হই, সেটা কমাবো কীভাবে সেটাই বড় প্রশ্ন। আমাদের সামনে এ ধরনের সংকটের কথা এসেছে। প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণের বড় একটা অংশ ছিল দুর্নীতি। আজকের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল পেছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে, সামনে যেন দুর্নীতির না হয় সেই বার্তা দিয়েছি।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বর্তমানের দুর্নীতি বন্ধ, পুরাতনগুলোর তদন্ত ও বিচারকাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারি। দুদক মূলত ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ সময় ব্যয় করে পুরাতন দুর্নীতি নিয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুরাতন দুর্নীতি নিয়ে ২০ শতাংশ, বর্তমানের দুর্নীতি নিয়ে ৩০ শতাংশ ও ভবিষ্যতের দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য ৫০ শতাংশ সময় ব্যয় করা উচিত। আমরা এই নির্দেশনা গ্রহণ করেছি। ওই নির্দেশনা জেলা প্রশাসককেও দিয়েছি। কারণ জেলা প্রশাসক হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের প্রধান কর্মকর্তা। ঘটনা যেখানেই ঘটুক, জেলা প্রশাসককেই আগে জানতে চাওয়া হয়। দুর্নীতির প্রসঙ্গ আসলে জেলা প্রশাসককেই জবাবদিহি করতে হয়।’
আরও পড়ুন: অনিয়মের অভিযোগে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে দুদকের অভিযান
ট্রান্সিপারেন্সি ইন্টারন্যাশনলের দুর্নীতির ধারনা সূচক (সিপিআই) প্রতিবেদনের সঙ্গে দুদক একমত কিনা জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রথমত আমরা পরীক্ষা করি নাই। সিপিআই একটি কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়। কাঠামো নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু ১৮০টি দেশ যেটা গ্রহণ করে। আমরা এর বাইরে থাকতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘দুদকের সঙ্গে বিরোধী মতের কোনো বিরোধ নেই। বিরোধ দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে। এমনকি আমি যদি দুর্নীতিবাজ হই, আমাদের সঙ্গেও বিরোধ থাকতে পারে। যাদের আইনের আওতায় আনা চূড়ান্ত লক্ষ্য। ভবিষ্যতে দুর্নীতি যেন প্রতিরোধ করতে পারি, আমাদের চেষ্টা থাকবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
৫৫ দিন আগে
সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ ক্রয় নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ পিপিআর ২০০৬ এবং পিপিআর ২০০৮ রিলেটেড। এদিকে নজর দিলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতির উপর ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর আপনারা পেয়েছেন। কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে, কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে- যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি'।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার খুলতে দুদকের অভিযান
দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) আক্তার হোসেন বলেন, 'দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ(আইইবি)'র সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম রিজু।
৬২ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার খুলতে দুদকের অভিযান
বাংলাদেশ ব্যাকের কর্মকর্তাদের লকার খুলতে কেন্দ্রিয় ব্যংকে প্রবেশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে প্রবেশ করে দুদকের এই প্রতিনিধি দল। দুদকের পরিচালক সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দল সেখানে গিয়েছে।
এরআগে গেল ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে কর্মকর্তাদের রাখা অর্থসম্পদ সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কেউ যেন লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
এতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে কর্মকর্তাদের অর্থ ফ্রিজ করতে দুদকের চিঠি
‘তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও সিলগালা করে অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব সিলগালা কোটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করছে দুদক।’
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দুদক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক স্থগিত করার (ফ্রিজ) সম্মতি দিয়েছেন।
৬৩ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে কর্মকর্তাদের অর্থ ফ্রিজ করতে দুদকের চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে কর্মকর্তাদের রাখা অর্থসম্পদ সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সেটি প্রকাশ করা হয়েছে।
কেউ যেন লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
এতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আলাউদ্দিনের হাজার কোটি টাকা পাচারের শাস্তি চেয়ে দুদকে আবেদন
‘তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও সিলগালা করে অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব সিলগালা কোটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করছে দুদক।’
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দুদক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক স্থগিত করার (ফ্রিজ) সম্মতি দিয়েছেন।
৬৮ দিন আগে
সাবেক এমপি আলাউদ্দিনের হাজার কোটি টাকা পাচারের শাস্তি চেয়ে দুদকে আবেদন
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের ঘটনায় ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর পরশুরামের আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম এক সময় ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রটোকল। নাসিমের বাড়ি সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরাম পৌরসভার গুথুমা গ্রামে। যার তিন পাশে সীমান্ত। তার নেতৃত্বে এই সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা থেকে অবৈধভাবে মাদক, ফেন্সিডিল, গরু, শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক আসে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় স্বর্ণ। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার পদবি ব্যবহার করে প্রশাসনে বদলি, পদায়ন থেকে শুরু বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ কোম্পানির লাইসেন্স করে দেওয়া কাজ শুরু করে আলাউদ্দিন নাসিম।
এতে আরও বলা হয়, আলাউদ্দিন নাসিম দেশটিকে বানিয়েছিলেন অনিয়ম ও দুর্নীতির ‘স্বর্গরাজ্য’। বালুমহাল, টেন্ডারবাণিজ্য, সালিশিবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্য ও সীমান্ত থেকে চোরাকারবারী চলত তার নির্দেশে। তিনি মিস্টার টোয়েন্টি পার্সেন্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন দেশব্যাপী। তাকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন না দিলে কোনো টেন্ডারই পেতো না ব্যবসায়ীরা। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই তিনি বুঝে নিতেন তার কমিশনের টাকা। বিভিন্ন সময় দুর্নীতির কারণে অনেকেই ধরা পড়লেও সব সময় অন্তরালে থেকে গেছেন দুর্নীতির বরপুত্র খ্যাত আলাউদ্দিন নাসিম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া সিন্ডিকেটের গডফাদার আলাউদ্দিন নাসিমের হাত ধরে দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পতিত শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হওয়ায় বিনা পুঁজিতে ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বিদেশে পাচার করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা।
ডাচ-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এস আলমের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেডের মালিকানাও রয়েছে নাসিমের। প্রতিমাসে ব্যাংকে এসএস পাওয়ার থেকে মোটা অঙ্কের চেক নাসিমের এবং তার ওয়াইফ অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজুর নামে জমা হয়। শুধু এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে বিদেশে পাচার করেন তিনি। জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
২০২৪ এর নির্বাচনী হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমি ১০ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৭ টাকা, তার স্ত্রীর ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৬ টাকা, অকৃষি জমি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্ত্রীর ৭৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
তার রয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৬ টাকা মূল্যের তিনটি দালান (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) রয়েছে। ১২ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২০ টাকা মূল্যের ৬টি ও তার স্ত্রীর ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০১ টাকা মূল্যের ৪টি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আলাউদ্দিন নাসিম, রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় এনই(কে) ব্লকের ৮৩ নং সড়কের ১৩/বি প্লটটি জমি ও ভবনসহ কিনে নেন। জমির পরিমাণ ১২ কাঠা। গুলশানে জমির সর্বনিম্ন মূল্য কাঠা প্রতি ১০ কোটি টাকা, সেই হিসেবে হাসিনার এই সাবেক এপিএস গুলশানে ১২ কাঠা জমি ক্রয় করেন ১২০ কোটি টাকায়। যদিও তার হলফ নামায় এই জমির বিস্তারিত উল্লেখ নেই।
নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার ও স্ত্রীর মোট ১০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিমের মদের গুদাম আছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এমপি ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশ-বিদেশে নামে-বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ। এ ছাড়াও কানাডায় রয়েছে বাড়ি-গাড়ি।
২০১৪ সালের ২০ মে সকালে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় গাড়িতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এই পুরো ঘটনাটি ঘটে আলাউদ্দিন নাসিমের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলাউদ্দিন নাসিম আত্মগোপনে চলে যান।
ফেনীর পরশুরামে ৩০ একর জায়গায় ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ। জোরপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে কলেজের জন্য কৃষিজমির জায়গা দখল করে নেওয়া হয়। ফিল্মিস্টাইলে লাল কাপড় লাগিয়ে এস্কেভেটর দিয়ে শুরু করেন মাটি কাটা। লাল পতাকা টাঙানোর পর বলা হতো, এই জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পরে দেখা যায়, অধিগ্রহণ নয়, মানুষ জানতে পারেন দখল করা হয়েছে। নাসিম কলেজের নামে কয়েক বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আলাউদ্দিন নাসিমের বাবা একাত্তরের রাজাকার ছিল। ২০১৩ সালে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঢোকানো হয়। ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা নামধারী রাজাকার সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মারা গেলে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে দাফন করা হয়! পজির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেনীর পশুরাম উপজেলা উত্তর গুথুমা গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট ফেনী মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশিত ০৯ সদস্য বিশিষ্ট পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগীদের তালিকায় ৭ নম্বর নামটি ছিল আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের বাবা সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর। কালের বিবর্তনে ৪২ বছরের ব্যবধানে এই রাজাকার ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল সরকারের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। যা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
৬৯ দিন আগে
হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজধানীর বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.আখতার হোসেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
আসামিরা হলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান।
৭৬ দিন আগে
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আব্দুস শহীদ, কবির বিন আনোয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের গঠিত তদন্ত দল সুনির্দিষ্টভাবে প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড তদন্ত করবে।
৮১ দিন আগে
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল তাকে আদালতে হাজির করবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এরআগে ২ জানুয়ারি দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।
এ ছাড়া মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের সম্পদের বিবরণী চেয়েছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে বলে দুদক জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুদক। ২ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মূলত অর্থপাচার প্রতিরোধেই কাজ করে বিএফআইইউ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরের ছাত্রলীগ নেতা মাসুম পাবনা থেকে গ্রেপ্তার
৮৫ দিন আগে