দুদক
পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
ব্যাংক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
এক চিঠির মাধ্যমে নাফিজ সরাফাতকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কমিশনে হাজির হতে বলেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান।
এর আগে উপপরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপসহকারী পরিচালক রাকিব উদ্দিন মিনহাজ।
১৬ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান ও খিলক্ষেত এলাকার নাফিজ সরাফাতের তিনটি ঠিকানায় পাঠানো চিঠিতে তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ অক্টোবর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত নাফিজের আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন। ১৫ আগস্ট দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
নাফিজ ছয় বছরেরও বেশি সময় পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে পদ্মা ব্যাংকে (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড) যোগদান করেন।
৩ সপ্তাহ আগে
বিএফআইইউর সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
অভিযোগে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে মাসুদ তাদের অনিয়মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।
হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ মামলাসহ ২৪টি বড় ঘটনায় ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচারে নীরব ভূমিকা পালন করেন তিনি।
উপরন্তু, বিএফআইইউ’র নগদ লেনদেন প্রতিবেদন (সিটিআর) যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই তদারকির পিছনে প্রাথমিক ব্যক্তি হিসাবে মাসুদকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এসব অভিযোগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি উঠে আসলে ব্যবস্থা নেয় দুদক।
আরও পড়ুন: সাবেক তিন এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
১ মাস আগে
সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক তদন্ত করছে বলে বুধবার (২৮ আগস্ট) ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মুখপাত্র আকতারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আর্থিক অপরাধ দমন অভিযানে সহায়তা করতে দুদকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
প্রাথমিক বিবরণে জানা যায়, তিনি ফরিদপুরের মধুপুরে একটি ভবন নির্মাণ করেছেন এবং পূর্বাচলসহ বিভিন্ন স্থানে প্লট কিনেছেন। একাধিক ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র রয়েছে তার।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সম্পত্তির মালিক তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেন।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
২ মাস আগে
আর্থিক অপরাধ দমন অভিযানে সহায়তা করতে দুদকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
আর্থিক দুর্নীতি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে সহায়তা দিতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালকের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
এতে আরও বলা হয়েছে, প্যানেলটি অনুসন্ধান অভিযানের সময় প্রমাণ জব্দ করতে এবং আইনি বিষয়গুলো পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
প্যানেলের সদস্যরা হলেন দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত মণ্ডল, হুমায়ুন কবির, সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী ও শোয়েব ইবনে আলম।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
বিএফআইইউ-দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো অপরিহার্য: টিআইবি
২ মাস আগে
বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সংস্থাটি।
এখন বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় এলে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির ব্যাপারে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ ছাড়ার আগে বেনজীর আহমেদ যে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এখন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা এসব খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় এলে শিগগিরই শুনানি হবে।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক।
গত ২১ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের অনুসন্ধান বিষয়ে অগ্রগতির প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই আদেশ অনুযায়ী রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে বেনজীরের ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
এদিকে বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গত ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেওয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।
তিন দফায় সাবেক আইজিপির প্রায় ৭০০ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে জব্দ রয়েছে, ১২টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাবসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।
সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে
৩ মাস আগে
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে এ নির্দেশ দেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ভারতের মতো আমাদের দেশেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সম্পদ বিবরণী আইন করা উচিত। আইন থাকলে কাউকে তাদের (সরকারি চাকরিজীবীদের) সম্পদের পাহারা দিতে হতো না। ভারতে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হয়। বিবরণীতে সম্পদের ১০ শতাংশের বেশি পার্থক্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এরকম আইন করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে চললে হবে না।’
এর আগে গত সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর গত রবিবার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আবেদনে বেনজীর আহমেদের পাশাপাশি তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
৬ মাস আগে
সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি গঠন
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১ ও ২ এপ্রিল আরও কয়েকটি ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমেও একই ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দুদক সচিব বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি নং ৩ অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখন দুর্নীতিবাজদের দখলে রাজপথ: দুদক চেয়ারম্যান
তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘ ঈদের ছুটি শেষে গত ১৮ এপ্রিল প্রথম বৈঠকে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।’
সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত শেষ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
৬ মাস আগে
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, দুর্ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দল।
গ্রাহকদের দীর্ঘ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), চট্টগ্রাম-১ একটি দল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এই অভিযান চালায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
আভিযানিক দল প্রথমে ছদ্মবেশ ধারণ করে পাসপোর্ট অফিসে কোনো অনিয়ম আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে এবং পাসপোর্ট করতে আসা সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে কাউন্টার, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের কক্ষ পরিদর্শন করে।
এ সময়ে আনসার সদস্য আমানুল্লাহ এবং পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদ ও ইমন বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সময়ে গেইটের সামনে থেকে একজন দালালকেও হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন জানান, একজন সেবাগ্রহীতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযুক্ত দুজন স্টাফকে ডাকা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালককে জানানো হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এছাড়াও আটক দালাল মহসিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য পরিচালকের নিকট সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুজন স্টাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
৮ মাস আগে
ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরে মেহেদী হাসান মিন্টু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার বেলা ১১টায় দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মিন্টু ফরিদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর ডিগ্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
এছাড়া সে একই উপজেলার আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অবৈধ উপায়ে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলা রুজু করে।
ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক এ মামলাটি দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে দুইজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ মিরপুর ও ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে দালালদের দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এবং সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন অভিযানের সময় দলটি সাধারণ গ্রাহক সেজে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি উদঘাটন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক দল একজন দালাল, দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য এবং বিআরটিএ-র সঙ্গে যুক্ত একজন সিএনএস কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতার সঙ্গে অনিয়মিত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আটকদের পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কাছে হাজির করা হলে দালাল ও সিএনএস কর্মীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জড়িত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
বিআরটিএ অফিসে অধিকতর গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
৯ মাস আগে