দুদক
প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭, টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড, শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড এবং টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ ছাড়াও মামলার অন্য ১৪ আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করেছিল গত ১৩ জানুয়ারি। গত ২৫ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন: জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে এই মামলায় ৩২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে
প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছর কারাদণ্ড
রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদকের করা তিন মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় মামলাটিতে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
পৃথক তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭। তবে ব্যক্তি হিসেবে আসামির সংখ্যা ২৩। প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন।
তিন মামলায় রাজউকের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে প্রতিটি মামলায় এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসব মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত রবিবার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি এবং তারা আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ পাননি।
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্যকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক সচিব ও কর্মকর্তা এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য ও কর্মকর্তাদেরও আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ তিনটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। বাকি তিন মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৪ অভিযোগ গঠন করেন।
১৪ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও চারজনকে যুক্ত করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
১২ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্তে আরও দুজনকে যুক্ত করে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের বিভিন্ন সাবেক সদস্য ও কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে দুজনকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ, সাবেক সদস্য তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন এবং পরিচালক ও উপপরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যদিও তাদের অনেকেই বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।
৭ দিন আগে
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান তদন্তের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং দলের ভেতরে ‘পদ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে কাদের অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন— এমন অভিযোগে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ দম্পতির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের বিনিময়ে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে সংসদ সদস্য হন শেরীফা কাদের।
আরও পড়ুন: জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে বিদেশে পাচার করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে এতে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন অভিযোগ, কাদের ভিন্ন ভিন্ন নামে সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও সিডনিতে অর্থপাচার করেছেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি এবং ফ্ল্যাট অন্তর্ভুক্ত।
১৯৯৬ সাল থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া কাদের বর্তমানে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
৯১ দিন আগে
পিআইবি পরিচালক শাখাওয়াত মুন বরখাস্ত
প্রাথমিক তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক কে এম শাখাওয়াত মুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব ছিলেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মুনের বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-এর চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৮৮ এর বিধি ৩৯(১) অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।
শাখাওয়াত মুন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) নির্বাহী প্রযোজক (অনুষ্ঠান) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
৯৩ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে দুদকের অভিযান
বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালকের কার্যালয় এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে এই অভিযান চালানো হয়। দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
রাঙামাটি অঞ্চলের দুদকের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফরহাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
দুদক সূত্রে জানা যায়, কৃষি বীজ বিতরণে অনিয়ম, কর্মশালার অর্থ আত্মসাৎ, কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ প্রকল্পে অনিয়ম এবং ধান কাটার মেশিন বিতরণে জটিলতা সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে রাঙ্গামাটি অঞ্চলের দুদকের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফরহাদ বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য.খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলমের বিরুদ্ধে নিম্ন মানের বীজ ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে কিছুদিন আগে জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
৯৯ দিন আগে
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে দুদক সিলেট কার্যালয়ে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দুদক সিলেট কার্যালয়ে যান এম এ মান্নান। সে সময় তার সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ১২টার দিকে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান তিনি।
এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন, সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কমিশন নেওয়াসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
নাজমূস সাদাত বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য তাকে দুদক সিলেট কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন, সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এই মন্ত্রীর সঙ্গে তার ভাগনে, ভাতিজাসহ আরও অনেকেই জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটির প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা কারাগারে
এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে বলেও জানান এই দুদক কর্মকর্তা।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে দায়ের করা একটি মামলায় গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে এম এ মান্নানকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারর করেছিল পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ৫ অক্টোবর সকালে এম এ মান্নান অসুস্থতাবোধ করেন। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে অবস্থানকালে ৯ অক্টোবর তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন। জামিন পাওয়ায় পরের দিন ১০ অক্টোবর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
১০৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা বাবর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক আলোচিত যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রায় ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে চট্টগ্রামের আলোচিত যুবলীগ নেতা বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারি পরিচালক মো নওশাদ আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
অভিযোগে এজাহারে বলা হয়েছে, বাবরের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এসব সম্পদ অর্জনে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা কারাগারে
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, জেসমিন আক্তার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। আর স্বামী বাবর সহযোগী হিসেবে দণ্ডবিধি ১০৯ ধারার আওতায় অভিযুক্ত।
বাবর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে তার পরিচিতি তিনি পুলিশ ও র্যাবের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে। কোটি টাকার রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার আর একের পর এক খুনের ঘটনায় তার নাম বহুবার শিরোনাম হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলের টেন্ডার নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবরের অনুসারী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের সংঘর্ষে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়। এই জোড়া খুন মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে রাউজানের আকবর-মুরাদ হত্যা, বিএনপিকর্মী আজাদ হত্যা, মির্জা লেনের ডাবল মার্ডার, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আশিক হত্যা, তামাকুমুণ্ডি লেনে রাসেল হত্যা, ষোলশহরে ফরিদ হত্যা এমন ডজনখানেক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী অসীম রায় বাবু নিহত হওয়ার পর বাবর দুবাই পালিয়ে যান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে ফিরে আসলেও, ২০১৯ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম কারাগারে সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুন হওয়ার পর তিনি আবার বিদেশে পালান। পরে শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের ছায়ায় দেশে ফিরে ফের সক্রিয় হন রাজনীতিতে।
২০ ২৪ এর জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে বাবর ও তার সহযোগীদের প্রকাশ্যে রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং ছাত্রদের উপর হামলা করতে দেখা গেছে। এমনি একাধিক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সে আবার দুবাই পালিয়ে যায়।
১০৬ দিন আগে
সাদাপাথরে লুটপাট, পরিদর্শনে দুদক টিম
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথর লুটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে পরিদর্শনে যায় সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদকের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত রাফির নেতৃত্বাধীন টিম। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধুদের যোগসাজশে সাদাপাথর এলাকার পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। ওই পর্যটন এলাকায় দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র
প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ধলাই নদের উৎসমুখে ভেসে আসা পাথরের বিশাল স্তুপের কারণে প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটনের স্থান হিসেবে গত কয়েক বছরে বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে গত এক বছরে সে জায়গাটি থেকে অবাধে পাথর লুটের ঘটনায় মনোরম সৌন্দর্যের এই স্থানটি বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদাপাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।
এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদাপাথর নামক ওই স্থান থেকে পাথর লুট হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে তা সারা দেশে আলোচিত হয়। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধংস করার প্রতিবাদ জানানো হয়।
১১৩ দিন আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা পাচার মামলা
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পারিবারিক মালিকানাধীন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ভূয়া প্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে 'টাইম লোন' তুলে বিদেশে পাচার করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম
এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে খুলে দেওয়া হয় পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান—ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং। এরপর ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় এসব প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খুলে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির নামে ২৫ কোটি টাকার টাইম লোন অনুমোদন করানো হয়। ব্যাংকের নিজস্ব 'ক্রেডিট কমিটি'র ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ওই ঋণ অনুমোদন দেয়।
এরপর সেই টাকা ভাগ করে একই ব্যাংকে খোলা চারটি হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করে পাচার করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্যাংক পরিচালক, ঋণ আবেদনকারী এবং অনুমোদনকারী সবাই একে অপরের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সমন্বিত চক্রান্তের মাধ্যমেই এ লোন নেওয়া ও টাকা পাচার সম্ভব হয়।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী ইউসিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, ভাই আসিফুজ্জামান চৌধুরী, বোন রোকসানা জামান চৌধুরীসহ ব্যাংকের সাবেক ১৩ পরিচালক, ৬ কর্মকর্তা এবং আরামিট গ্রুপের ৯ কর্মচারীকে।
অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। সরকারের পতনের ঠিক আগে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট জাবেদ স্ত্রী ও সন্তানসহ লন্ডনে পাড়ি জমান বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
১৩৩ দিন আগে
দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
সচিব পদে পদোন্নতির পর তাকে দুদকের সচিব হিসেবে পদায়ন করে বুধবার (১৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীনকে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার সুবিধার্থে গত ২৪ জুন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
১৪১ দিন আগে