লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এএসএম আশরাফুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘তারা ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া নয়...আমি এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি জানান, দেশে ফেরা ১৫ জন বাংলাদেশি আরেকটি দলে ছিলেন। তাদের প্রায় একই সময়ে- ১০ থেকে ১২ মে’র মধ্যে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছিল।
তারা আরেকটি নৌকায় ছিলেন এবং জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে সাগরে নিরুপায় অবস্থায় ভাসছিলেন। পরে তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে, বলেন লেবার কাউন্সিলর।
তিনি আরও জানান, তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করা এসব মানুষকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কাছে হস্তান্তর করে।
সম্প্রতি তার তিউনিসিয়া সফরের সময় পাসপোর্ট না থাকা ১৫ বাংলাদেশিকে ট্রাভেল পাস (গমনাগমনের অনুমোদনপত্র) দেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন আশরাফুল ইসলাম।
তাদের বহনকারী টার্কিস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন ইউএনবিকে ফোনে জানিয়েছিলেন।
লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ৯ মে তিউনিসিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ৩৯ বাংলাদেশি নিখোঁজ হন। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ১৫ বাংলাদেশিকে জীবিত এবং একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
৯ মে রাতে একই সময়ে যাত্রা করা দুটি নৌকায় থাকা মোট ১৫০ অভিবাসীর মধ্যে ১৩০ জন ছিলেন বাংলাদেশি। একটি নৌকা নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও আরেকটি নৌকা ৭০-৮০ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে ডুবে যায়।