তিনি বলেন, ‘সঠিক সমবায়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন দ্রুততর হবে ... আমি বিশ্বাস করি।’
রবিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৭তম জাতীয় সমবায় দিবসের উদ্বোধন এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৬ ও ২০১৭ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা সমবায়ের মাধ্যমে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভালো মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে দেশ থেকে বেকারত্বের অভিশাপ দূর করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায় একটি দর্শন, এটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি পরীক্ষিত কৌশল। সমবায়-ভিত্তিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বৈষম্য হ্রাস পায়, কারণ এটি সুষম ও টেকসই উন্নয়নের নিশ্চয়তা দেয়।’
জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে স্বপ্ন পূরণের একটি উপায় ছিল সমবায়। তিনি কৃষি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, শিল্প উদ্যোগ এবং কৃষিঋণসহ সকল ক্ষেত্রে সমবায়-ভিত্তিক উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সংবিধানের ১৩ নং অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালায় ব্যক্তি মালিকানা খাতের পাশাপাশি সমবায়ের কথা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় সমবায় প্রতিষ্ঠান- মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শকে ধারণ করে সরকার দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নত করার জন্য কাজ করছে। আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আমরা গ্রামীণ উন্নয়ন ও সমবায়ের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি খাদ্য উৎপাদনে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সমবায় কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য গবাদি পশুর উন্নয়ন ও দুধ উৎপাদনের জন্য সরকার বেসরকারি খাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।
এবারের সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সমবায় ভিত্তিক সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি।’
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী সমবায় খাতে অবদান রাখার জন্য পদকপ্রাপ্তদের মাঝে জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১৬ এবং ২০১৭ বিতরণ করেন।