নিহত আজিজুল হক (৪৫) ও ফারুক হোসেন (৫০) যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলা সামটা এলাকার মৃত জেহের আলীর ছেলে।
তাদের ভাই শহিদুল ইসলামের দাবি, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজিজুল ও তার বড় ভাই ফারুক একসাথে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় তারা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শার্শা থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান। আজ সকালে শার্শা ও কেশবপুর থেকে আজিজুলের এবং ফারুকের লাশ পাওয়া গেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।
রবিবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে মরদেহ দুটি শনাক্ত করেন সাইদুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টার দিকে শার্শা উপজেলার ধানতারা এলাকার একটি মেহগনিবাগান থেকে আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমানের দাবি, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, ‘আজিজুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সম্ভবত মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা যেতে পারেন।’ নিহত আজিজুলের বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত ৭-৮টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে নিহতের ভাই সাইদুল দাবি করছেন, তার ভাই আজিজুল মাটি বিক্রির ব্যবসা করতেন। অনেক আগে বোমা বিস্ফোরণে তার দুটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে একইদিন সকালে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাড়রদাঁড়ি-চিংড়া সড়কের রামপুর এলাকা থেকে ফারুকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন বলেন, ‘নিহতের গলায় একটা দাগ রয়েছে। এটি গুলির দাগ কি না তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’