মাদক
যশোরে অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যশোর থেকে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে আশরাফুল আলম ওরফে বিপুল (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
তার কাছ থেকে একটি সচল ওয়ান শুটারগান, ১০ রাউন্ড গুলি, একটি বার্মিজ চাকু ও ২৫০ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশ্রম মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আশ্রম রোডের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তিনি অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা ডিবি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা ডিবি পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি দীর্ঘদিন ধরে কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় অস্ত্র ও মাদক বিক্রি করে আসছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালী থানায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত পৃথক পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
মাদারীপুর সদর উপজেলায় মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবার নাম জলিল বয়রা (৬০) ও তার ছেলের নাম ইউসুফ (২৬)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ দীর্ঘদিন থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। সোমবার সকালে হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে ইউসুফ তার বাবাকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাওলিন আফরোজ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের হোটেল থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ শাহাবুদ্দিন শেখ জানান, মিয়ারচর পুকুরপাড় স্কুলের পাশে জলিল বয়রাকে তার মাদকাসক্ত ছেলে ইউসুফ কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে মাদাদরীপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ছেলের হাতে বাবা খুনের খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) দামকুড়া থানার চরমাজারদিয়াড় এলাকায় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আবু সাঈদ (৩০) চরমাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেন চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, আবু সাঈদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শত্রুতা চলছিল। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আবু সাঈদ প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সেই বিরোধের জেরে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সাঈদের পথ আটকে তার পায়ে গুলি করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানিয়রা সাঈদের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয় দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় দামকুড়া থানায় নিহত সাঈদের স্ত্রী বাদী হয়ে রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান রাত থেকেই শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
কুড়িগ্রামে মাদক জব্দ, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের উলিপুরের কাতলামারী সীমান্ত এলাকা থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় সাইফুল শেখ (২৪) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সাইফুলকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. রুহুল আমিন।
গ্রেপ্তার সাইফুল শেখ (২৪) ভারতের হাড়-সিংমারী জেলার শুকচর থানার বাসিন্দা।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইফুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছে থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
রুহুল আমিন জানান, তার বিরুদ্ধে কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উলিুপর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: কড়া নজরদারিতে কুড়িগ্রামের হাটে নেই ভারতীয় গরু
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
জেলখানায় প্রায় ৬০ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জেলখানায় যারা অন্তরীণ রয়েছে, তাদের প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী।
তিনি বলেন, সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে এদের কারও কারও বিচার হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নে আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১/২ মাস পর বের হয়ে আরও বেশি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এই জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। গোপনে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তাদের ব্যাপারে জানাতে হবে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে মাদকদ্রব্যের হাত থেকে রক্ষা করতে। নইলে যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তা বাধাগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে এক যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) পৌর শহরের এরশাদপুরে নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আমিনুল হক মুক্ত (৩৪) আলমডাঙ্গা পৌর শহরের এরশাদপুর গ্রামের মৃত শমসের মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ শ্বশুরবাড়ি এরশাদপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল মুক্ত। তিনি কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং প্রায়ই মাদক সেবনের জন্য শাশুড়ি ও স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিতেন।
সোমবারও মুক্ত তার স্ত্রীর কাছে টাকা চান। স্ত্রীর কাছে টাকা না পেয়ে তিনি সোমবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিকলীতে গলায় রশি দিয়ে ৬৫ বছর বৃদ্ধের আত্মহত্যা
কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কক্সবাজারে ‘মাদক বহন না করায়’ প্রতিবন্ধী কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজার সদর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় শনিবার মাদক সরবরাহে অস্বীকৃতি জানানোয় মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
নিহত হেফাজ উদ্দিন ওই এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে।
জানা যায়, মাদক বহনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম করার জন্য কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা চাপ দিতো প্রতিবন্ধী হেফাজ উদ্দিনকে।
অবৈধ কাজ করতে না চাওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হতো। এ বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরকে একাধিক বার নালিশ করা হলেও কোনো সুরাহা পাই নাই। এ নিয়ে তাকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হতো।
এর জের ধরে ৩০ জুন সন্ধ্যায় আবারও মারধর করে প্রতিবন্ধী হেফাজ উদ্দিনকে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
নিহত হেফাজ এর বাবা সালেহ আহমদ বলেন, কিশোর গ্যাং-এর মারধরের কারণে তার ছেলে মারা গেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, এর আগেও হেফাজকে নির্যাতন করা হয়। পরে সালিশে বৈঠকে হেফাজকে নির্যাতন করবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় উচ্ছৃংখল কিশোরদের কাছ থেকে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এলাকাবাসী আহত অবস্থায় হেফাজকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মানবপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদকরোধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভায় অংশগ্রহণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রক্তপাত হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সেজন্য সভায় এভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যেন ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে; সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা হবে। আরসা ও আরাকান আর্মির কেউ যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না ঢুকতে পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেজন্য প্রয়োজন মোতাবেক সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান হতে পারে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চলবে। প্রয়োজনে যৌথ অভিযান চলবে। ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হয়ে না আসতে পারেন, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি, ওয়াচ টাওয়ার হয়েছে, সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থাও আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেগুলো আরও জোরদার করা হবে। যাতে তারা বাইরে না আসতে পারেন। যৌথ টহলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মিয়ানমারের চার নাগরিককে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১ দশমিক ০৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার জব্দ করার দাবি করেছে বিজিবি।
সোমবার রাতে বিজিবি এ অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন- শফিউর রহমানের ছেলে ওয়াজ করিম (২২), আমির হাকিমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৯), আনিস আহমেদের ছেলে মো. ফয়সাল (২০) এবং মিয়ানমারের হোসেন আহমেদের ছেলে জসিম উদ্দিন।
এদের মধ্যে ফয়সাল ও জসিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বিজিবি-২-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বিজিবি-২ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করার সময় একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে।
পরে নৌকার ভেতর থেকে বিয়ার ও মদসহ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
টেকনাফে ১২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ
টেকনাফে মাদক জব্দ, যুবক আটক
তুরাগে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার
তুরাগ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সন্দেহভাজন শুক্রবার রাতে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- আব্দুর রউফ, মো. রাজু ও মো. ফারুক মিয়া ওরফে টুলু।
শনিবার তুরাগ থানা ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তরা বিভাগ) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, শুক্রবার তুরাগ থানার এসআই মো. শাহিনুর রহমান খানের কাছে গোপন সংবাদ ছিল যে তুরাগ থানাধীন ফুলবাড়িয়ার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে এসআই মো. শাহিনুর রহমান খান তার টিম সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও আব্দুর রউফ ব্যর্থ হয়ে ছাদে পানির ট্যাংকির আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পানির ট্যাংকির পেছন থেকে বেরিয়ে এসে এসআই শাহিনুরকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
এসআই শাহিনুরকে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডিসি (উত্তরা বিভাগ) জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ, মো. রাজু ও মো. ফারুক মিয়া ওরফে টুলুকে ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ পলাতক আসামিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে তুরাগ এলাকাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩