বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডিসি সম্মেলনের পঞ্চম দিনের প্রথম অধিবেশনে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
অধিবেশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা যেন আরো জনমুখী হয়ে মানুষের সেবায় ব্যাপক অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক গণশুনানি করে যার যে সমস্যা আছে সেগুলো শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেবার ধরন জনগণের আরো কাছাকাছি নিয়ে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলায় যেখানে অনিয়ম আছে তা শনাক্ত করা প্রয়োজন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ডিসিরা তাদের ডেকে সংশোধনের চেষ্টা করবে, সেটা না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা শহরের হাসপাতালগুলোকে দালালমুক্ত, অনিয়ম দুর্নীতিমুক্ত করার বিষয়ে ডিসিরা খেয়াল রাখবেন। পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ভোগান্তি সেদিকে তারা নজরদারি বাড়াবেন।’
অফিসগুলোকে ডিজিটালাইজেশন করার বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ই-ফাইলিংসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের আরো ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। এজন্য কর্মকর্তাদেরও ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক জেলায় যে স্কুল আছে ডিসিরা যেহেতু সেখানকার সভাপতি সেহেতু তারা যেন আরো গুরুত্ব দেয়, নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং লেখাপড়ার মান উন্নত করতে ব্যবস্থা নেয় সে নির্দেশনা তাদের দিয়েছি।
ডিসিরা কি ধরনের প্রস্তাব করেছেন জানতে চাইলে মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ডিসিরা বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তারা জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংক করার প্রস্তাব দিয়েছে।
যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও জনকল্যাণকর কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।