তিনি বলেন ‘সমুদ্র অঞ্চল রক্ষার জন্য আমাদের নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা জরুরি।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বানৌজা সংগ্রাম’র কমিশনিং দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের বিএনএস ঈসা খাঁ নৌ ঘাঁটিতে ক্যাপ্টেন আরিফুর রহমানের কাছে জাহাজের ‘কমিশনিং ফরম্যানস’ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশী দেশের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে অর্জিত বিশাল সমুদ্র অঞ্চলকে কাজে লাগাতে নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭৪
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সাথে যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। তবে আমরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়ে আমাদের বাহিনীকে শক্তিশালী করতে চাই যাতে কেউ আমাদের আক্রমণ করলে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য- সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী সম্পর্কে তিনি বলেন, নৌবাহিনীর জন্য ইতোমধ্যে জাহাজসহ অনেক আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নৌবাহিনীর হাতে প্রথমে খুলনা শিপইয়ার্ড হস্তান্তর করেন। নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে দুটি শুকনো ডকও নৌবাহিনীকে দেয়া হয়েছিল।
দেশে জাহাজ নির্মাণ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে আমাদের শিখতে হবে, প্রস্তুত করতে হবে এবং পাশাপাশি প্রযুক্তি জ্ঞানও থাকতে হবে। যাতে আমরা ভবিষ্যতে আমাদের নিজস্ব জাহাজগুলো তৈরি করতে পারি এবং প্রয়োজনে রপ্তানি করতে পারি, এটি অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।’
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে ‘বানৌজা সংগ্রাম’ শুক্রবার লেবাননের উদ্দেশে রওনা হবে।