মঙ্গলবার ধানমণ্ডির সদরদপ্তরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
অভিযুক্ত অপর ১৪ আসামি হলেন- নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ আলম (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা(১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
পিবিআই প্রধান বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ১৬ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ৯২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মেয়েকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার।
মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করে নুসরাত।