রবিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফেনীর সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে তাকে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।
তিনি বলেন, ‘জোবায়ের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সে ঘটনার দিন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নিয়ে নুসরাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং ম্যাচের (দিয়াশলাই) কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
‘জবানবন্দিতে জোবায়ের এ হত্যার বিষয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা যাচ্ছে না,’ যোগ করেন তিনি।
আপরদিকে এ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার হোসেন রানা ও ইমরান হোসেন মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, গ্রেপ্তার রানা ও মামুনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার গ্রেপ্তার রানা ও মামুনের রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম।
এর আগে শনিবার রাঙামাটি ও কুমিল্লায় পৃথক অভিযান চালিয়ে রানা ও মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
পর্যন্ত এজাহারের ৮ জনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৭ জন। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়েছে।