শনিবার নিখোঁজের চার দিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শ্রমিক উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য কাওয়ালজানি গ্রামের নায়েব আলী শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল নয়টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শেষ সীমানা চর করনেশনা এলাকায় নদীতে জেলেরা মাছ ধরার সময় লাশটি ভাসতে দেখে। স্থানীয়দের মাধ্যমে তারা দৌলতদিয়া নৌফাঁড়ির পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় লোকজন জেলেদের ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে যুবকের লাশ দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নেয়। এসময় বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকায় পণ্যবাহী কার্গো জাহাজের কর্মরত শ্রমিকেরা লাশ দেখে চারদিন আগে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ শ্রমিক দেলোয়ারের লাশ বলে শনাক্ত করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এবং নিহত দেলোয়ারের পরিবারের লোকজন ঘাটে উপস্থিত হলে সুরতাল প্রতিবেদন শেষে থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মিজানুর রহমান লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে এমভি জলরাজ-৩ জাহাজ থেকে ২৮ জন শ্রমিক ট্রলারযোগে অপর একটি জাহাজে পণ্য খালাসের জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় ঝড়ো বাতাসে নদী উত্তাল হয়ে তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। এক পর্যায়ে সবাই ট্রলারের একপাশ হলে ট্রলারটি কাঁত হয়ে ডুবে যায়। পরে ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের ২৭ জন শ্রমিক সাঁতরে পাশে নোঙর করে থাকা অপর এক জাহাজে উঠতে পারলেও ঢেউয়ের তোড়ে দেলোয়ার ডুবে যায়।