সিসা ও ডিটারজেন্টসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকায় বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৪ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্ট লিমিটেড (আফতাব মিল্ক), আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক), আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড (মো), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা), বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস লিমিটেড (ডেইরি ফ্রেশ), ব্রাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট (আড়ং মিল্ক), ডেনিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেড (আয়রান), ইছামতি ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (পিওরা), ইগলু ডেইরি লিমিটেড (ইগলু), প্রাণ ডেইরি লিমিটেড (প্রাণ মিল্ক), উত্তরবঙ্গ ডেইরি লিমিটেড (মিল্ক ফ্রেশ), শিলাইদহ ডেইরি (আল্ট্রা মিল্ক), পূর্ববাংলা ডেইরি ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (আরওয়া) এবং তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (সেইফ)।
এছাড়া, সিসা ও ডিটারজেন্টসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক উপাদানযুক্ত পাস্তুরিত দুধ বিক্রি কেন অবৈধ ও অনৈতিক ঘোষণা করা হবে না এবং ‘জীবন বাঁচানোর অধিকারের’ সাথে সম্পর্কিত ১৫, ১৮, ৩১ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি, উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ও কার্যকরী কোনো নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
এর আগে গত ১৪ জুলাই এই ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে চারটি ল্যাবকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পর গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির প্রতিবেদন এখনও জমা দেয়া হয়নি।