প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরতলির রানীরহাট বাজারে রাত পৌনে ৮টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহারুল হক আরজু তার নির্বাচনী এলাকা রানীরহাটে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় একদল যুবক চারদিক থেকে গণসংযোগে উপস্থিত লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমাবর্ষণ শুরু করে। এতে আতঙ্কিত লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। মুহূর্তে রানীরহাট বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কেও যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। গুলির শব্দ পেয়ে প্রার্থী আরজু দৌঁড়ে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন।
এসময় দুর্বৃত্তরা তার বহরে থাকা দুটি গাড়ি ভাংচুর করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরজাহারুল হক আরজু অভিযোগ করেন, সাবেক চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামি রউফের নেতৃত্বে শতাধিক যুবক এ হামলা চালায়। তারা বৃষ্টির মতো বোমা ও গুলিবর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, মূলত আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, এসময় দুর্বৃত্তরা একটি গাড়ি ভাংচুর করেছে।