বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রের ফেয়ারওয়ে বয়া, নারিকেলবাড়িয়া, দুবলাসহ একাধিক জায়গায় এসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
বিকালে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে জালাল মোল্লার এফবি মায়ের দোয়া, আহম্মদ মিস্ত্রির এফবি তাজেনুর, খলিল ফকিরের এফবি মীম-২, দুলাল মিয়ার এফবি মায়ের দোয়া ও ছগির পহলানের এফবি আরমান আলীর নাম জানা গেছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ও জেলেদের বাড়ি বরগুনা সদর ও পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। তা দেখে সাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে আসার সময় অন্তত ১৫টি ট্রলার ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া এফবি আরমানের ১০ জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও ট্রলার মালিক ছগির পহলানসহ চার জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে বরগুনা জেলা প্রশাসন, পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনসহ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কাজ শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা অভিযানে নেমেছে।’
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মাহমুদ আলী জানান, সুন্দরবনের আউটপোস্ট ক্যাম্পগুলোকে উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দেয়ি’ গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ভারতের দক্ষিণ উড়িষ্যা ও তৎসংগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সাগরে উত্তাল থাকায় বৃহস্পতিবার রাতেই শতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া, আলোরকোল ও দুবলা খালে আশ্রয় নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি।