সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
পরে বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র্যালি বের করেন। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার শুরু করে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
দুপুরে নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিনব্যাপী ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি পরিবর্তন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান আহরণ এবং পাঠদান দুটি কাজই করে থাকে। আমরা এটি করতে পেরেছি। ইউজিসি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণায় ব্যস্ত। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলার মত বিষয় খোলার মাধ্যমে সুকুমার বৃত্তির সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটেছে।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সমস্যা ছিল একাডেমিক সমস্যা ও আবাসন সমস্যা। সরকার আমাদের কেরাণীগঞ্জে ২০০ একর জমি প্রদান করেছে। এখানে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন আবাসন ব্যবস্থা স্থাপন করা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তজার্তিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে।
আলোচনা সভায় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান-এর সঞ্চালনায় ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অদম্য তেরো’ উদযাপন উপলক্ষে বিকালে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে কনসার্ট আয়োজন করা হয়। কনসার্টে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।