মঙ্গলবার ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট এবং নারী ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্ট এ কথা বলেন।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইকও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ইউএনবি প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকদের ছোট প্রতিনিধি দলের সাথে ব্রিফিংকালে ব্রিটিশমন্ত্রী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটিকে রক্ষার ব্যাপারে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করলেন পেনি মরডান্ট।
এ সফরে তিনি কক্সবাজারের কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা শিবির এবং সেখানকার খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ইউকেএইডের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা গ্রহণকারী ও রাখাইনে সহিংসতা শিকার হওয়া রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের সাথে কথা বলেন তিনি।
সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো কক্সবাজার সফরকালে ব্রিটিশ মন্ত্রী আবারও বলেন, রোহিঙ্গাদের যে দুঃখ-দুর্দশা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, তা ভুলে যাওয়ার নয়।
ঢাকায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মরডান্ট আরও বলেন, তিনি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারের যেসব পরিবর্তন হওয়া দরকার তার জন্য চাপ দেয়ার চেষ্টা করে যাবেন।
কিন্তু এ মুহূর্তে সাময়িকভাবে জীবনযাপনের জন্য রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের ও তাদের পরিবারের জন্য তাদের টেকসই সহায়তা দরকার।
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সহায়তা অব্যহত রাখার কথা জানান।
রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরিতে বাংলাদেশের প্রস্তাব বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য কীভাবে সাহায্য করতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো যুক্তরাজ্যও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায়।
রোহিঙ্গাদের বিষয়টি শুধু মানবিক নয়, বাস্তব ইস্যু উল্লেখ করে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এটি শিবির,অন্যকিছু বা যে কোনো অঞ্চল হতে পারে, যা সীমান্তের ওপারে। কিন্তু তাদের যাওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, সেখানে যাওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।’