বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এখানকার সুশীল সমাজের সংগঠন এবং এনজিওগুলোর সাথে কাজ করতে চায় তারা।
সোমবার রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রিস্টফ ফিউকস্ বলেন, ‘উন্নয়নের সাথে মানবাধিকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই মানবাধিকার ও উন্নয়ন সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সাথে কাজ করে যাবে সুইজারল্যান্ড।’
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এবং মানবাধিকারের ওপর গুরুত্বারোপের উদ্দেশে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘ইউনির্ভাসেল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) এর গুরুত্ব বর্ণনাতীত। ইউপিআর একটি দেশকে অধিকার ও ন্যায়বিচারের পথপ্রদর্শন করে, সকল ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতা দূর করে এবং সমাজকে কণ্ঠস্বর প্রদান করে।’
অনুষ্ঠানের মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ. ন. ম. ওয়াহিদ ও অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ। সার্বিক আলোচনা পরিচালনা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিযা।
মানবাধিকারের ওপর নিবিড়ভাবে গুরুত্বারোপ করে আলোচকরা নাগরিক অধিকার, নারীর অধিকার, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তৃতীয় ইউনির্ভাসেল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) এর বাংলাদেশ সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেন।
এই আলোচনায় উপস্থিত দর্শকরাও সক্রিয়ভাবে মানবাধিকার ও দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকার চর্চা নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানটিতে বিপুল সংখ্যক রাজশাহীর মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ড এর পুরস্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকার বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সনিতা’ প্রদর্শিত হয়।
রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীটি মানবাধিকার বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ট্যুর এর অংশ।
সুইস ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এন্ড ফোরাম অন হিউম্যান রাইটস ইন জেনেভা ইতিমধ্যে বিশ্বের ৪৫টিরও বেশি দেশে এই ফিল্ম ট্যুর এর আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশে ঢাকা, রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম সহ ছয়টি শহরে এই ফিল্ম ট্যুর আওতায় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।