তিনি বলেন, ‘যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা এই বিষয়ে যা যা প্রয়োজন তা করব।’
বুধবার রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনার নামে ইনস্টিটিউটটির নামকরণ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এতে পাঁচ শতাধিক দগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনে পেট্রল বোমা হামলায় মানুষ পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ দিনগুলোর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই না বাংলাদেশে আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটুক। দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটের সেসব ভয়াবহ হামলার বিরোধিতা করেছিল, যাতে শত শত মানুষ প্রাণ হারায় এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়।’
‘সকলের সহযোগিতায় আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা এই ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলা দমন করতে সক্ষম হয়েছে ... ভবিষ্যতেও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। সকল বাধা দূর করে সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে এবং উন্নয়নশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দ্রুত অগ্রগতির জন্য এ দেশ এখন অনেক দেশের কাছে দৃষ্টান্ত।
সরকারের একমাত্র লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ে তোলা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে সরকার দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করবে এবং স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। আগামীতে নৌকায় ভোট দিয়ে সুযোগ দিলে, অবশ্যই যে কাজগুলো শুরু করেছি, সেগুলো আমরা সম্পন্ন করতে পারব।’
৫০০ শয্যা, ৫০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং ১২টি অপারেশন থিয়েটার সম্বলিত ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের বৃহত্তর বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
দগ্ধ রোগীদের সেবায় আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার ৫২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করেছে। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষণার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল প্রধান মেজর জেনারেল এম সিদ্দিকুর রহমান সরকার বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল হক খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা রাখেন।