বুধবার রায় ঘোষণার পর সন্তোষ করে মা করিমুন নেছার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকে যে রায় হলো এতে আমি সন্তুষ্ট।’
এর আগে, প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ার সময় কান্না জড়িত কণ্ঠে পুলিশ কর্মকর্তা রবিউলের মা বলেন, ‘আমি তো আর আমার সন্তানকে ফিরে পাবো না। দীর্ঘ তিনটি বছর এ দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে যে রায় হলো এতে আমি সন্তুষ্ট।’
রায়ের দ্রুত কার্যকরের আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমার এ সন্তানই (রবিউল) ছিল আমার একমাত্র মাথার ছায়া। তাকে হত্যার পর আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।
‘তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কারণ আমাদের বিপদের সময় তারা আমার পাশে দাড়িয়েছে,’যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান ক্যাফেতে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এক, বাংলাদেশি দুজন নাগরিক এবং দুজন পুলিশ সদস্যও নিহত হন।
দুই পুলিশ সদস্যের একজন হলেন সে সময়কার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল। আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গিরা ঢোকার পর সেখানে অভিযানে গিয়ে হামলায় নিহত হন তিনি।
এদিকে, আজ ওই জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে আট অভিযুক্তের সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মাহমুদুল হাসান মিজান, সোহেল মাহফুজ, রাশিদুল ইসলাম ওরফে রায়াশ, হাদিছুর রহমান সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
যদিও হামলার পেছনে ২১ জন জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হন।