মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে সীমানার বিরোধ, প্রাণ গেল কৃষকের
মানিকগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে মোজাফফর হোসেন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর দিকে ঘিওর উপজেলায় সিংজুরী ইউনিয়নের বৈলতলা গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত মোজাফফর হোসেন ওই গ্রামের মৃত হেকমত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে মোজাফফরের সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ দুপুরে আব্দুর রহমান সীমানার খুঁটি তুলতে গেলে মোজাফফর হোসেন বাধা দেন। এতে আব্দুর রহমান রড দিয়ে তাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: টেপ মোড়ানো বস্তুতে লাথি মারতেই বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বাঁচল প্রাণ
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২ সপ্তাহ আগে
মানিকগঞ্জে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী
মানিকগঞ্জে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ২০টি। তবে শয্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় ওয়ার্ডে জায়গা পাচ্ছেন না অনেকেই। এতে বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে রোগীদের। অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়রিয়া ইউনিটে অক্টোবর মাস থেকেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। অক্টোবর মাসে ৩৫৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। শীতের প্রথম থেকেই এই ইউনিটে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ডিসেম্বরের শুরু থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় শতাধিক রোগী ভর্তি হন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আলপনা আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের মতো ডায়রিয়া রোগী আসছেন চিকিৎসা নিতে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। একজন শিশু রোগীর সঙ্গে কমপক্ষে আরও দুই-তিনজন স্বজন থাকছেন। এতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলানও হচ্ছে না। শয্যার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শয্যার পাশাপাশি মেঝেতে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। আবার জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী অন্যত্র প্রাইভেট ক্লিনিক বা বেসরকারি হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ৪ বছরের শিশু আকিবের মা শিউলী বেগম বলেন, ‘ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি তার সন্তান বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। কোনোভাবে পাতলা পায়খানা না কমায় হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেন। দুই দিনে তার শিশুর আগের তুলনায় পাতলা পায়খানা কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে হাসপাতালের নোংরা পরিবেশের কারণে রোগী ও স্বজনরা অসুস্থ হওয়ারও শঙ্কা করছেন।’
কয়েকজন ভর্তি রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ডায়রিয়া ইউনিটের পরিবেশ খুবই নোংরা। তাছাড়া পায়খানাগুলো নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। এতে করে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সব ওষুধও মিলছে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এবিএম তৌহিদুজ্জামান জানান, মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আলাদা ডায়রিয়া ইউনিটে বিছানা রয়েছে ২০টি। কিন্তু প্রতিদিন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি থাকছে ৩০ থেকে ৪০ জন এর মতো। বেশিরভাগই শিশু রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডায়রিয়ার ইউনিট ছাপিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে সাধারণ ওয়ার্ডের মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিবেশও নোংরা হয়ে পড়ছে।
তবে ডায়রিয়া ইউনিটে নার্স ও চিকিৎসকরা জানান, তারা সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসায় তাদের প্রচণ্ড চাপে পড়তে হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইনসহ সিপ্রোসিন জাতের ওষুধের সরবরাহ না থাকায় রোগীদের সেগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, ‘শীতজনিত কারণে শিশু রোগীর চাপ বাড়ছে। ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট ছাড়াও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। মূলত ‘রোটা ভাইরাসের’ কারণে শীতকালে শিশুরা বেশিরভাগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর থেকে রেহাই পেতে সচেতনতার পাশাপাশি শীতের সকালে গরম কাপড় পরিধান, ঠান্ডা খাবার না খাওয়ানো ও উষ্ণ স্থানে শিশুদের রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহা উদ্দিন জানান, জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অতিরিক্ত রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে রোগীর চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়ার রোগী স্থানান্তর করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
৩ সপ্তাহ আগে
মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘিওরের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘিওরের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া নিহত হয়েছেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল আলম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনা অনুসন্ধান করে পুলিশের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
১ মাস আগে
মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, গ্রেপ্তার ৩
মানিকগঞ্জে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস করার অপরাধে তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের তালুকনগর এলাকা বাবু খানের চাকরি প্রত্যাশী মো.শামীম খান (১৯), মতিন খানের মো.ইসমাইল হোসেন খান (১৮) এবং নাজিমুদ্দিন খানের মো.নাজমুল ইসলাম খান (১৮)।
পুলিশ জানায়, গত ২২ নভেম্বর মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষায় পুলিশের চাকরি দেওয়ার শর্তে প্রতারক নজরুল ইসলাম চাকরি প্রত্যাশী মো.শামীম খান ও ইসমাইল হোসেন খানের সঙ্গে ২০ লাখ করে চুক্তি করে। সে মোতাবেক মো. শামীম খানের কাছ থেকে ২০ হাজার এবং ইসমাইল হোসেন খানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আগাম নেন প্রতারক নজরুল ইসলাম। এরপর লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে মো.শামীম খান ও ইসমাইল হোসেন খানকে পাশ করানো হয়। এছাড়া চাকরি দেওয়ার শর্তে প্রতারক নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ইনজাল চাকরি প্রত্যাশী নাজমুল হোসেন খানের সঙ্গে ১৬ লাখ টাকা চুক্তি করে এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে প্রক্সির মাধ্যমে নাজমুল হোসেন খানের লিখিত পরীক্ষায় পাস করানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩৭৫৫০ পিস ইয়াবা জব্দ, নারীসহ গ্রেপ্তার ২
পুলিশ আরো জানায়, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে তাদের মৌখিক (ভাইবা) পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষার সময় জিজ্ঞাসাবাদের বোর্ড সদস্যদের কাছে অসামঞ্জস্য মনে হলে বোর্ড সদস্যরা তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং পর্যবেক্ষণ সন্দেহজনক হওয়ায় এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার তিন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সিতে পাস করার বিষয়টি স্বীকার করেন। একই সঙ্গে প্রতারক নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ইনজালের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও পুলিশকে জানান।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আমান উল্লাহ জানান, এঘটনায় চাকরি প্রত্যাশী শামীম খান, সাইফুল হোসেন খান,নাজমুল ইসলাম এবং প্রত্যারক নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ইনজালসহ অজ্ঞাত ৫জনকে আসারি করে এসআই লিটন বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
মানিকগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাঁধন ও রাতুল নামে ২ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জেলার সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহতরা হলেন- সিংগাইর উপজেলার ইতরা গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মো. বাঁধন (১৮) এবং সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের মৃত পাংকু মিয়ার ছেলে রাতুল হোসেন (২৫)।
আহত যুবক লাদেন সিংগাইরের ইতরা গ্রামের রকেট মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে চালকসহ ৩ জন ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান বাঁধন। এসময় পিকআপ চালক পালিয়ে যান।
অপর ২ জনকে সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে রাতুলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতাবস্থায় লাদেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাশিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
২ মাস আগে
খরায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা; বাজারেও সংকট
দেশে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। দাম বাড়ছে ক্রমবর্ধমান গতিতে। এর মধ্যে তীব্র খরায় মানিকগঞ্জে কমে গেছে কাঁচা মরিচের উৎপাদন। এ অবস্থায় ব্যাপক লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপাদন হয়। এই দুই জেলায় উৎপাদিত মরিচ দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণের পর দেশের অন্য জেলাসহ বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে হরিরামপুর ও শিবালয়ে মরিচের ক্ষেতে কোনো মরিচ নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৩ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৭৬ হেক্টর বেশি। প্রতি বছর এখানকার উৎপাদিত মরিচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। দুই বছর আগেও এ অঞ্চল থেকে শত কোটি টাকার মরিচ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। তবে এ বছর প্রচণ্ড গরম ও সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এই ফলন বিপর্যয় বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
প্রায় সব জমিতেই মরিচ গাছের পাতাগুলো কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে। আসছে না নতুন ফুল। ফলনও নেই। হতাশায় পড়েছেন মরিচচাষিরা। তারা জানান, অতি খরায় মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। মরিচ গাছ মরে যাচ্ছে।
হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা উজানপাড়া গ্রামের কৃষক সামছুদ্দিন বলেন, দুই বিঘা জমিতে এবার মরিচ লাগিয়েছিলাম। শুরুতে গাছে ফলন ভালো ছিল। তখন ফলন বেশি থাকায় বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে দাম ছিল না। সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করেছি। এর কিছুদিন পর অতি খরায় মরিচ ক্ষেত নষ্ট হতে থাকলে বাজারে মরিচের সংকট তৈরি হয়। তখন বাজারে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করেছি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। ধীরে ধীরে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে ফলন কমে যায়। দুই বিঘা জমিতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। খরচ বাদ দিলে হাজার বিশেক টাকা লাভ পেয়েছি। এখন অতি খরায় মরিচ ক্ষেতগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছি।
একই গ্রামের মরিচ চাষি নূর হোসেন বলেন, এই অঞ্চলে মরিচের আবাদ ভালো হওয়ায় এবার ৩০ হাজার টাকা ধার-দেনা করে সাড়ে চার বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করি। কিন্তু এমন বিপর্যয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ানো রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছের মাথা থুবরে গেছে। শুধু আমার অবস্থাই এমন না, আশপাশের সব কৃষকের একই অবস্থা। সব কৃষকের মাথায় হাত।’
উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের মরিচ চাষী আবদুর রহমান ব্যাপারী বলেন, তীব্র খরায় অধিকাংশ মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যায়। কয়েক বার সেচ দেওয়ার পর সামান্য ভালো হয়। দ্বিতীয় দফায় আবার তীব্র খরায় একই অবস্থা হয়। পরে অনেক গাছ মরে যায়। তবে যে গাছগুলো আছে তাতে ফুল এলেও মরিচ ধরছে না।
এদিকে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল গ্রামের কৃষক আফসার উদ্দিন জানান, দুই বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করতে চারা, সার, কীটনাশক, সেচসহ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এই সময়ে প্রতিদিন জমি থেকে দুই আড়াই মণ মরিচ হওয়ার কথা থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে প্রতিদিন দুই কেজিও মিলছে না। সার, কীটনাশক, সেচ দিয়েও সুফল পাননি তিনি।
একই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, এ বছর অতি খরার কারণে মরিচ ক্ষেতে মাটি ফেটে যাওয়ায় গাছ মরে গেছে। আবার অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় গাছের গোড়া পঁচে গিয়ে গাছ মরে গেছে।
চাষিরা বলছেন, ফলন বিপর্যয়ের কারণে বাজারে খুব অল্প মরিচ উঠছে। এর প্রভাবে গত বছরের মতো এবারও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে চলছে। বিভিন্ন আড়তে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মানিকগঞ্জের মরিচের উৎপাদন না থাকায় এখন পাইকারি মোকামগুলোতে মরিচের চালান আসে দেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গাসহ কয়েকটি জেলা থেকে। এছাড়া এলসির মাধ্যমে ভারতীয় মরিচ আমদানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের পাইকারি আড়ৎগুলোতে।
মানিকগঞ্জের বড় একটি পাইকারি আড়ৎ জাগীর বন্দর ধলেশ্বরী পাইকারি আড়ৎ।
সোমবার সকালে এই আড়তে ভারতীয় এলসির কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকায়।
পাইকাররা জানান, দেশীয় মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কোনো মরিচ এখন আড়তে আসছে না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছু মরিচ আসলেও দাম বেশি।
মানিকগঞ্জ জাগীর বন্দর ধলেশ্বরী পাইকারি বাজারের আড়তদার আবদুস সাত্তার জানান, ‘এখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মরিচ নিয়ে যায় পাইকাররা। ভারতীয় আমদানি করা মরিচ একদিন আসা বন্ধ থাকলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাছাড়া এলসির মরিচ অর্ধেক পঁচা বের হচ্ছে। এতে ঘাটতি পূরণ করতে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে, পাইকারি বাজারে বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নুর আহমেদ বলেন, ‘টানা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাছাড়া সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এই ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যেহেতু বছরে একাধিকবার মরিচের আবাদ করা হয়, তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলে কৃষকরা আগের মতো ফলন পাবেন। আর পাতা কুঁকড়ানো রোগের সমাধানের জন্য বগুড়ার মসলা গবেষণাকেন্দ্রে যোগাযোগ করেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন তা কৃষকদের জানানো হয়েছে।’
৩ মাস আগে
মানিকগঞ্জে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ শিশুর
মানিকগঞ্জে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে আনহা আক্তার ও স্নেহা আক্তার নামে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর দিকে সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কায়রা গ্রামের রাস্তার পাশের ডোবায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের এক দিন পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কাগজিনগর গ্রামের বাবু কাজীর মেয়ে আনহা ও একই ইউনিয়নের খরসাতাই গ্রামের রফিক সরদারের মেয়ে স্নেহা।
নিহতরা স্থানীয় কয়রা মাদরাসাতুল ওহি আল ইসলামী মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাড়ি ফেরার পথে কয়রা গ্রামের রাস্তার পাশের ডোবায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় স্নেহা ও আনহা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, নিহতদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আলমডাঙ্গায় পূজা দেখতে বের হওয়া ২ শিশুর লাশ মিলল নদীতে
৩ মাস আগে
মানিকগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে গাছ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় জেলা পৌরসভার পূর্বদাশড়া এলাকার কাটাখালী ব্রিজের উত্তর পাশের খালপাড়ের একটি গাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক বয়স ৪৫ হবে। পুলিশ তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কৃষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, কাটাখালী ব্রিজের উত্তর পাশের খালপাড়ে প্রতিনিয়ত মাদকাসক্ত বখাটেদের আড্ডা বসে। জায়গাটা অনেকটা নির্জন থাকায় এখানে প্রতিদিন মাদকের আড্ডা বসে।
মানিকগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু জানান, পৌরসভার পূর্বদাশড়া এলাকার খালের উত্তর পাড়ের একটি গাছে গামছা দিয়ে বাঁধা একটি লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে বিকাল ৫টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান এসআই।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় নিখোঁজের ২ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
৩ মাস আগে
মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২০
মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গার্মেন্টস কর্মীবাহী একটি মিনিবাসের সঙ্গে বিপরীতগামী একটি ট্রাকের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ২০ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিবালয় উপজেলার বোয়ালী ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গার্মেন্টস কর্মীবাহী একটি মিনি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমরে মুচড়ে যায়। অন্যদিকে ট্রাকটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২
খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাম্মী আক্তার জানান, আহত ২০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে আনার আগেই দুই নারী গার্মেন্টস কর্মী মারা গেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি মো. ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত
৩ মাস আগে
মানিকগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়ন থেকে স্মৃতি সরকার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সঞ্জিত সাহা ও তার মা নিয়তি সাহাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাপুর গ্রামের দর্জিপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সঞ্জিত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালান। এই দম্পতির দুই বছরের ছেলে আছে।
স্বজনদের দাবি, গৃহবধূ স্মৃতি সরকারকে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বাচ্চাদের নিয়ে ওই বাড়িতে দুই ছেলের স্ত্রীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মাসখানেক আগে ঝগড়া করে বাপের বাড়িও কয়েক মাস থেকে এসেছেন স্মৃতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ছেলে কান্না শুরু করলে শাশুড়ি ডাকতে গিয়ে দেখেন স্মৃতি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্মৃতির খালাতো ভাই সুদেপ সাহা বলেন, তার বোনের শরীরে মারধরের আঘাত রয়েছে। বোনকে তার স্বামী সঞ্জিত হত্যা করেছে বলে দাবি তার।
স্মৃতির মা রানী দাস বলেন, ‘আমার মেয়েকে মাঝেমধ্যে মারধর করত সঞ্জিত। ওরে মাইরা ফালাইছে।’
স্মৃতির শাশুড়ি নিয়োতি সাহা বলেন, ‘কোনো কাইজা (ঝগড়া) হয় নাই।’
শরীরে আঘাতের বিষয়ে জানতে তিনি চাইলে বলেন, ‘তা তো জানি না।’
স্মৃতির স্বামী সঞ্জিত বলেন, বিকাল ৪টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলাম। ৫টার দিকে বাড়ি এসে দেখি স্ত্রী মারা গেছে।
হরিরামপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্মৃতির নাকের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সঞ্জিত ও তার মাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে লেক থেকে গাজী টিভির নিউজরুম এডিটরের লাশ উদ্ধার
নেই দাফনের সুযোগ, লাশ ভাসিয়ে দিতে হচ্ছে কলা গাছের ভেলায়
৪ মাস আগে