বক্তারা রোহিঙ্গা ‘টাইম-বোমা’ যে কোনো সময় ফেটে গিয়ে বাংলাদেশ ও তার বাইরের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে উল্লেখ করে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপ দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গোলটেবিল আলোচনায় এক বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওপর চাপিয়ে না দিলে আগামী ১-১০ বছরের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানের কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। যা এখানে আরেকটি পূর্ব প্যালেস্টাইন হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
বক্তারা বলেন, এটা একটি জাতীয় সমস্যা এবং বাংলাদেশ যদি এর সমাধান করতে না পারে তবে বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা র্শীষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে দৈনিক ভোরের কাগজ।
ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
অন্যান্যদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির ও শমসের মবিন চৌধুরী এতে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের বেশিরভাগই নিজ দেশের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারে প্রবেশ করেছেন।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে মিয়ানমারের ‘ব্যর্থতা’ এবং রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশের অভাবে গত দুই বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করানো যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার নাম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং পরে তাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করেছে। তবে মিয়ানমার এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে পারেনি।