শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের যে ধরনের সহায়তা দরকার আমরা তা দেব। আমি বিশ্বাস করি ন্যায়বিচার হবেই, কেউ ছাড় পাবেন না।’
মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে এবং এ জন্য যারা দায়ী, গাম্বিয়া তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ‘অপরাধ কার্যক্রমে যে-ই জড়িত থাকুক তার শাস্তি হওয়া উচিত।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদৌ টাঙ্গারার সাথে বৈঠকে বসেন। দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও তারা বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের ইস্যুটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত মার্চে সর্বসম্মতিক্রমে আইসিজে-তে তুলে ইসলামি সহযোগিত সংস্থা ওআইসি।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে তা আইসিজের মাধ্যমে জবাবদিহির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে ১০ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে গাম্বিয়া।
আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে ওআইসি সম্মেলনে আবারও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
‘আমরা সমন্বিতভাবে একসাথে কাজ করব,’ জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমধানে যারা বাংলাদেশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে তারা প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছেন।
দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতার সম্পর্ক বিরাজ করছে। পরস্পরের প্রতি আমাদের এ সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় থাকবে।’