বুধবার রাত ৮টার দিকে ফরিদপুর জেলার সদর থানার বঙ্গেশ্বরী এলাকা থেকে র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১২,সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার এ্যাডিশনাল এসপি মুহাইমেনুল রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার মহিত মিয়া ওরফে খোকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত একই সাথে আগের দিন ফরিদপুর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক জয়নালেরও জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত গত ২৮ আগস্ট বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা গঞ্জেরাজ পরিবহনের একটি বাস শহরের চৌড়হাস মোড়ের কাউন্টারে এসে থামে। সে সময় থেমে থাকা বাসের সামনে দিয়ে আট মাস বয়সী শিশু কন্যা আকিফাকে কোলে নিয়ে রাস্তা পারা হচ্ছিলেন মা রিনা বেগম। হঠাৎ কোনো হর্ন ছাড়াই চালক খোকন বাসটি চালিয়ে দেন। এতে মায়ের কোল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় শিশু আকিফা। বাসের ধাক্কায় রিনা বেগমও আহত হন।
মুমূর্ষু আবস্থায় ওই দিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ আগস্ট না ফেরার দেশে পাঁড়ি জমায় শিশু আকিফা। রাস্তার পাশে থাকা একটি দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক চ্যাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
আকিফা কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার সবজি ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদের মেয়ে।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে নিহত আকিফার পিতা হারুন উর রশীদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় ঘাতক বাসের চালক খোকন, সুপারভাইজার ইউনুস মাস্টা এবং ওই বাসের মালিক জয়নালকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।