পরিবহন
পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
সরকার সড়ক, রেল, সেতু, শিপিং, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং টেলিযোগাযোগের মতো মূল খাতে সরকারি বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
'মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে।
চলতি অর্থবছরে ৮৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
নীতি নথিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সামাজিক সংহতি নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত ও ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। এটি বলছে, মসৃণ সরবরাহ শৃঙ্খলা পরিচালনার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য একটি দক্ষ পরিবহন এবং লজিস্টিক ব্যবস্থা অপরিহার্য।
বিশেষ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বহুলেন মহাসড়ক নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও নতুন সেতু নির্মাণসহ উন্নত ও টেকসই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রচেষ্টাগুলো ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং ৭ হাজার ৩০০ মিটার সেতু ও কালভার্টসহ ৪৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনার পরিপূরক।
আরও পড়ুন: বার্ষিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৬ অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা শহরে, সরকার মেট্রোরেল লাইন সম্প্রসারণ করে যানজট হ্রাসের দিকে মনোনিবেশ করছে। এটি নগরীর গতিশীলতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে প্রস্তুত।
রেলওয়ে খাতকে নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী, আধুনিক ও জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থায় পরিণত করার লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনার আওতায় সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা, রেলপথের মানোন্নয়ন এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে ২৭৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং ২১০ কিলোমিটার বিদ্যমান লাইন পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
নথিটি নৌ পরিবহন ব্যবস্থার জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার রূপরেখা দেয় এবং সমন্বিত মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট ফ্রেমওয়ার্কের গুরুত্ব উল্লেখ করে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য ড্রেজিং প্রচেষ্টার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথ, সমুদ্রবন্দর এবং স্থলবন্দর বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যাত্রী পরিচালনার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিমানবন্দরগুলোতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য প্রকল্প গ্রহণ করছে। এই আধুনিকীকরণগুলো বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।
এই বিস্তৃত পরিকল্পনাগুলো কেবল বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের লক্ষ্য নয়, বরং দেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর ভিত্তি হিসাবেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: ‘মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন’
৬ মাস আগে
রবিবার থেকে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট চলবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মুছা বলেন, শনিবার গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, চুয়েটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে সমাধান হওয়ার পরও আমাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তা চাই। গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। যা রবিবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।
গত ২৪ এপ্রিল বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকালে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাবিজ-কবজ ও যাদু-টোনার অভিযোগে কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে সড়কে হঠাৎ রিকশাচালকের মৃত্যু
৬ মাস আগে
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
সিলেটে গ্যাস সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সিলেট জেলাজুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রত্যেক মাসের ১৮ থেকে ২০ দিন পর থেকেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে অনুমোদিত লোড শেষ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত যানবাহনের চালকরা।
গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলায় সিএনজি চালিত সব যানবাহনের সিএনজি লোডিংয়ে সব সংকট ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করে পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ধর্মঘটে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটবাসী গ্যাস সংকটের কারণে দুর্ভোগে রয়েছে। বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস পাচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকরা। বিগত কয়েক বছর থেকে গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের অবহিত করার পরও সমাধান হচ্ছে না। এসময় মঙ্গলবারের (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে গ্যাসের লোড বৃদ্ধি ও সংকট সমাধান না হলে আজ বুধবার থেকে সিলেটের সব সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানান পরিবহন নেতারা।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ৫ দাবিতে বুধবার ভোর থেকে সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা অনিদিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবেন। প্রয়োজনে পুরো সিলেট বিভাগ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ৩ জেলার ২৬ রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে মানুষ
৮ মাস আগে
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় আকারে বেশ ছোট হওয়ায় যানজটের শহরে মোটরসাইকেলের জুড়ি মেলা ভার। ইঞ্জিনচালিত এই দ্বিচক্রযানে নেই প্যাডেল ঘুরানোর ক্লান্তি, সেইসঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় থাকে রোমাঞ্চের আনন্দ। এছাড়া নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজনে বেরনোর সময় মুক্তি দেয় গাড়ি খোঁজার ঝামেলা থেকে।
এতসব সুবিধা একটু কম খরচে পেতে অনেকেই ঝুঁকে পড়েন পুরাতন মোটরবাইক কেনার দিকে। ব্র্যান্ডের নতুন মোটরবাইকে হাত দেওয়ার আগে এই যানগুলো ড্রাইভিংয়ে পরিপক্ক হওয়ার উপযুক্ত উপায়। তাই চলুন, সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার সময় যে ১০টি বিষয় যাচাই করা উচিৎ
বর্তমান বাজার মূল্য
বাজেট অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত বাইকটি পেতে প্রথমেই বাজারে তার বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে খোঁজ-খবর করে নেওয়া জরুরি। এর ফলে কত দিন ব্যবহার করা হয়েছে এবং কোনো কিছু মেরামতো বা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না- তা বিবেচনা করে দামদর করতে সুবিধা হবে। এজন্যে সহায়ক তথ্যের জন্য বাইক সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলো সহায়ক হতে পারে।
সরেজমিনে দেখার জন্য সরাসরি দোকানে চলে যাওয়াটা উত্তম। মূল্যের পরিধির ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে তবেই বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
এক নজরে বাহ্যিক দর্শন
বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করার সময় প্রথম দর্শনে বাইকের যতটুকু দৃষ্টিগোচর হচ্ছে তার সবটুকুই সুক্ষ্মভাবে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। খেয়াল করতে হবে ফ্রেমে কোনো দাগ বা মরিচা পড়েছে কি না, সামনের ও পেছনের লাইটগুলো সঠিকভাবে জ্বলছে কি না এবং বসার সিট কভারে কোনো ছেঁড়া আছে কি না। বাইক স্টার্ট দেওয়ার চাবি কী হোলের ভেতর নির্বিঘ্নে ঢুকছে কি না এবং তা কোনো জ্যাম ছাড়াই ঘুরছে কি না- তা খতিয়ে দেখা জরুরি। চাকার কভার, হর্নের শব্দ এমনকি আয়নার মতো ছোট ছোট ব্যাপারও এ সময় এড়ানো যাবে না।
ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন ও ব্যাটারি
আসল যাচাইকরণ শুরু হবে ইঞ্জিন থেকে, যা বাইক স্টার্ট দেওয়ার সময়ই টের পাওয়া যাবে। ঠকঠক বা অস্বাভাবিক শব্দ হলে বোঝা যাবে বিয়ারিং বা ভালভে সমস্যা আছে। এর মাধ্যমে গিয়ারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না তথা ট্রান্সমিশনটাও যাচাই হয়ে যাবে।
ইঞ্জিন চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই ইগ্নিশন লাইট জ্বলে উঠে কয়েক সেকেন্ড পর বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু লাইট জ্বলে থাকলে বুঝতে হবে ইঞ্জিনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় সমস্যা আছে। কোথাও কোনো রকম সংযোগ বিচ্ছিন্নতা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। হেডলাইটের ক্ষীণ বা নিভু নিভু আলো মানেই দুর্বল ব্যাটারি। ব্যাটারির টার্মিনালগুলো পরীক্ষার জন্য সঙ্গে মাল্টিমিটার রাখার প্রয়োজন হবে। একটি সম্পূর্ণ চার্জযুক্ত ব্যাটারির হাইড্রোমিটার রিডিং ১২ দশমিক ৬ ভোল্ট হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাজাজ পালসার এন-২৫০: বাংলাদেশের প্রথম ২৫০ সিসি বাইক
ক্লাচ, ব্রেক ও সাস্পেনশন
স্টার্ট থেকে শুরু করে গিয়ার ধরতে পারছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ধীরে ধীরে ক্লাচে চাপ বাড়িয়ে আবার একই ভাবে আস্তে করে ছেড়ে দিতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোথাও জ্যাম অনুভূত হলে বা বাইকের বডি কেঁপে উঠলে ক্লাচে সমস্যা আছে। ভালো ক্লাচের ক্ষেত্রে বাইক চালু করার পর প্রথম গিয়ারে থাকাকালীন হাল্কা কম্পন দিয়ে ধীর গতিতে সামনে এগোনোর কথা।
এ অবস্থায় আলতো করে ব্রেক চেপে দেখে নেওয়া যেতে পারে তা কতটা মসৃণভাবে কাজ করছে এবং কোনো শব্দ না করে বাইক থেমে যাচ্ছে কি না। ভালো ব্রেকিং সিস্টেমে ব্রেক ছেড়ে দিলে বাইক মসৃণভাবে আগের গতিতে ফিরে যায়।
ব্রেক টানার সময় সাস্পেনশনটারও পরীক্ষা হয়ে যাবে। শক অ্যাবজরভার ভালো থাকলে খুব বেশি ঝাকুনি অনুভূত হবে না। এছাড়া থেমে থাকা অবস্থাতেও সিটে বসে হাল্কা বাউন্স করে দেখা যেতে পারে। এ সময় সিট সমেত বাহকের শরীর স্প্রিং না করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
চাকা ও টায়ার
যত্ন নেওয়া মোটরবাইকগুলোর চাকা ও টায়ারগুলো বেশ নতুনের মতো থাকে। টায়ার রাবারের পুরুত্ব কমপক্ষে ১/১৬ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এগুলো অনেক বছর হয়ে গেলে বা অযত্নে ব্যবহার হলে ছিড়ে যায়। অধিকাংশ মোটরসাইকেলের টায়ার প্রায় ৬ বছর পরে বদলে নিতে হয়। তাই টায়ার বদলের সময় কাছাকাছি হলে বিষয়টিকে বাইকের দরদামের সময় উত্থাপন করা যেতে পারে।
ছোট ছোট গর্ত বা কার্ব থাকা চাকা নেওয়া যাবে না। সামনের ও পেছনের চাকাগুলোর অ্যালাইনমেন্ট ঠিক আছে কি না তা যাচাই করতে হবে। ঘোরার সময় কোনো বাধা ছাড়াই চাকাগুলো ঘুরতে পারছে কি না সেদিকটাও দেখা দরকার।
রাস্তাঘাটে মোড় নেওয়ার জন্য বাইকের স্টিয়ারিং ডানে-বামে নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘোরাতে পাড়াটা জরুরি। এটি পরীক্ষা করতে বাইককে কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডের উপর রাখলে সামনের অংশ মাটি থেকে কিছুটা উপরে উঠে যাবে। এতে বোঝা যাবে সামনের চাকা এবং হ্যান্ডেলবারগুলো মুক্তভাবে এদিক-ওদিক ঘোরানো যাচ্ছে কনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
জ্বালানি ট্যাংক
অনেক পুরনো হয়ে গেলে জ্বালানি ট্যাংকের ভেতরটা অন্ধকার হয়ে যায়। ব্যবহারযোগ্য ট্যাংকে জ্বালানি থাকলে তা উজ্জ্বল দেখায়। এই রঙ বোঝার জন্য ট্যাংকের ক্যাপ খুলে টর্চ লাইটের সাহায্যে ভেতরে একদম নীচ পর্যন্ত ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
ফ্রেম
প্রথম দর্শনে এক নজরে দেখার সময়ই চোখে পড়বে বডির দাগ বা মরিচাগুলো। পরবর্তীতে বাইকের সামনে হ্যান্ডেলবার এবং ফর্কগুলোর অ্যালাইনমেন্ট যথাযথভাবে যাচাই করে নিতে হবে। এছাড়া বাইকের হেড টিউব বাইকের সিট বা আসন টিউবের প্রেক্ষিতে কিভাবে বেঁকে আছে- তা দেখতে হবে। কেননা এখানেও অ্যালাইনমেন্ট থাকা আবশ্যক। এছাড়া বিচ্ছিন্নতা বা ফাটল খুঁজে বের করার জন্য স্টিয়ারিং হেড বিয়ারিংও পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
সার্ভিস রেকর্ড
মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ নিরীক্ষণ শেষে এবার কাগজপত্র দেখার পালা। বাইকের পূর্বের অবস্থা যেমন- দুর্ঘটনা, নেমপ্লেট পরিবর্তন, ও কোনো অংশ মেরামতো হয়েছে কি না- সে ব্যাপারে সম্যক ধারণ দিতে পারে সার্ভিস রেকর্ড। পাশাপাশি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করা যেতে পারে যেমন, বাইকটি বিক্রি করা হচ্ছে কেন, শেষ কবে বাইকটি চালানো হয়েছিল এবং কোন পার্টস মডিফাই বা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না ইত্যাদি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- বাইকের মালিকানা এ পর্যন্ত কতবার পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
অনেক বার হাতবদল হয়ে থাকলে সাধারণত বাইকের পূর্বাবস্থার সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এর সঙ্গে মোটরসাইকেলের মেরামতের রেকর্ডও সম্পর্কিত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড মানে পূর্ববর্তী মালিকরা সময়মতো বাইকের সঠিক যত্ন নিয়েছিলেন।
কাগজপত্রের বৈধতা
একটি ঝামেলাহীন মোটরসাইকেল বেছে নেওয়ার জন্য এর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাইকরণ অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে প্রথমেই দেখতে হবে নিবন্ধন কার্ড এবং হালনাগাদকৃত ট্যাক্স টোকেন। বাইকের ইঞ্জিন এবং চেসিস নাম্বার নিবন্ধনপত্র বা কার্ড ও ট্যাক্স টোকেনের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নিবন্ধন বা ট্যাক্স টোকেন কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সেই সঙ্গে যাচাই করতে হবে এই কাগজগুলোর সঙ্গে কোনো আইন সংক্রান্ত জটিলতা আছে কি না। মোটরবাইকটি কোনো মামলার সঙ্গে জড়িত আছে কি না, থাকলে তা নিষ্পন্ন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে একটু অসাবধানতায় সমূহ বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন বাইকের নতুন মালিক।
আরও পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
টেস্ট ড্রাইভ
যাবতীয় যন্ত্রাংশ খুটিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছার আগে নিজে একবার মোটরসাইকেলটি চালিয়ে নেয়া উত্তম। এই টেস্ট ড্রাইভের জন্য অবশ্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা আবশ্যক।
এই ব্যবহারিক নিরিক্ষণে ইঞ্জিন থেকে শুরু করে ব্রেক, ট্রান্সমিশন, সাস্পেনশন সবকিছুর কার্যকলাপ পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। কিছুটা সময় নিয়ে চালানোর সুযোগ থাকলে মাইলেজের ব্যাপারেও একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। সর্বতভাবে এই অভিজ্ঞতার আলোকেই ক্রেতা ঠিক করতে পারবেন যে, আসলেই বাইকটি তার কেনা উচিৎ কি না।
পরিশিষ্ট
পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার সময় এই ১০টি বিষয় সামগ্রিকভাবে সঠিক যানবাহনটি বেছে নিতে সাহায্য করবে। এখানে ক্লাচ, ব্রেক, সাস্পেন্শন, চাকা ও বৈধ কাগজপত্র নিশ্চিত করবে সার্বিক নিরাপত্তার দিকটা। ব্যবহৃত যানটি আর কতদিন চালানো যাবে তা ঠিক হবে ইঞ্জিন, ব্যাটারি ও জ্বালানি ট্যাংকের মানের নিরিখে।
অবশ্য একটি মোটরযানের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রত্যেকটি পূরণ করলেও পূর্ব ব্যবহারের ভিত্তিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কমবেশি হয়ে থাকে। উপরন্তু, শতভাগ ত্রুটিহীনতার সম্ভাবনা থাকে না মেনে নিয়েই সকলে কিনে থাকেন সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গাড়ি চালানো শেখার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার
৮ মাস আগে
সরকারি বিএল কলেজে আবাসন-পরিবহন সংকট চরমে
খুলনার সরকারি ব্রজলাল কলেজ (বিএল কলেজ) প্রতিষ্ঠার ১২১ বছর পার হলেও শিক্ষার্থীদের আবাসন ও পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বছরের পর বছর এ দুই সংকটে পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের।
খুলনা মহানগরী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে দৌলতপুরের ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত এ কলেজে ১৯০২ সালের ২৭ জুলাই থেকে পাঠদান শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৯ জন ছাত্র নিয়ে এফএ (ফার্স্ট আর্টস) ক্লাস শুরু হয়। আবাসিক কলেজ হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং এটি ছিল অবিভক্ত বঙ্গদেশের প্রথম আবাসিক কলেজ।
কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, সম্মান এবং স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ২১টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ২২ বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে ২৫ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটির একাডেমিক ভবনসহ অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন হয়নি শুধু আবাসিক হলের। নির্মিত হয়নি নতুন কোনো ছাত্রাবাস। ২৫ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আটটি আবাসিক হলে আবাসন সুবিধার রয়েছে মাত্র সাড়ে সাতশ’ ছাত্র-ছাত্রীর। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রাবাসে ৪৩১ জন ছাত্র এবং তিনটি ছাত্রীনিবাসে ৩১৯ জন আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
আরও পড়ুন: গ্রামে নগরায়নের ছোঁয়া, খুলনায় মিলছে না খেজুরের রস
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের পাঁচটি ছাত্রাবাসের বেহাল অবস্থা। কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। পলেস্তারা খসে পড়েছে অনেক স্থানে। গ্রিলগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। পিলারের ঢালাই খুলে রড বেরিয়ে আছে। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রাবাসে থাকছেন শিক্ষার্থীরা।
শহীদ তিতুমীর, ড. জোহা এবং হাজী মহসীন হলের প্রায় তিনশ’ ছাত্র জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হলে থেকে পড়াশোনা করছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুবোধ চন্দ্র হলের ছাত্ররা টিনের চালের ঘরের হলে থাকেন। ২০২২ সালে সর্বশেষ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামে একটি ছাত্রীনিবাস তৈরি করা হয়।
২৫ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পরিবহনের জন্য কলেজটিতে বাস রয়েছে মাত্র ছয়টি। প্রতিদিন নওয়াপাড়া থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত ছয়টি রুট থেকে ছাত্র-ছাত্রী আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিটি ৭০ সিটের বাসে ১৩০ থেকে ১৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী আনা-নেওয়া করা হয়।
কলেজের শিক্ষার্থী হাসান উজ জামান বলেন, ‘বিএল কলেজে পাঁচটি ছাত্রাবাস রয়েছে। যেগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শহীদ তিতুমীর, ড. জোহা এবং হাজী মহসীন হলে প্রায় তিনশ’ ছাত্র থাকে। অধিকাংশরা ঝুঁকি নিয়ে হলে থেকে পড়াশোনা করে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুবোধ চন্দ্র হলে ছাদ না থাকায় গরমের দিনে অনেক গরম সহ্য করা লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ২৫ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আটটি আবাসিক হলে আবাসন সুবিধা রয়েছে মোটে এক হাজারের মতো। এজন্য সবদিক বিবেচনা করে আমাদের আবাসন সংকট কাটিয়ে উঠতে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের দুই মাস পরও চালু হয়নি খুলনা-মোংলা রেললাইন
হাজী মুহাম্মদ মহাসীন হলের ছাত্র মো. আলিম হোসেন জানান, হলে খাওয়ায় অনেক সমস্যা। ঠিকমতো মিল চললেও খাবারের মান অনেক নিম্নমানের। পাশাপাশি আলোর একটু স্বল্পতা রয়েছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য বিদ্যুতের ওয়ারিং ব্যবস্থা নতুন করে করতে হবে।
মন্নুজান হলের ছাত্রী সুতপা বসু বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আমাদের হলটা সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে আমাদের অন্য হলে গিয়ে থাকতে হয়। এজন্য দ্রুতই মন্নুজান হলটা সংস্কার করা হলে মেয়েদের আবাসন সংকট অনেকটা কমবে।’
দৌলতপুরের একটি মেসে থাকেন এম এম মিলন নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজারের বেশি। কিন্তু সে তুলনায় হলগুলোতে সিটের সংখ্যা অনেক কম। এজন্য চাইলেও আমরা হলে থাকতে পারি না। নতুন করে আরও দু-একটি হলের ব্যবস্থা হলে আমাদের সবার জন্য সুবিধা হতো।’
পরিবহন সংকট প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বলে বাসের দুটি ট্রিপ থেকে একটি ট্রিপ বন্ধ করে দেয়। ফলে বিভিন্ন রুটের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বাসে সিটের অপ্রতুলতায় দাঁড়িয়ে পর্যন্ত যাওয়ার জায়গা হচ্ছে না। ফলে বাড়তি টাকা খরচ করে কলেজে যাওয়া-আসা করা লাগছে।
পরিবহন ও আবাসন সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জামান বলেন, ‘আবাসন সমস্যা দীর্ঘদিনের। সরকারের এ নিয়ে আপাতত কোনো পলিসি নেই। ছাত্রী হল তৈরি হয়, কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রদের কোনো হল তৈরি হয় না। কোনো কোনো জায়গায় ছাত্রদের হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে যে ছাত্র হলগুলো আছে সেগুলো আমরা সংস্কারের ব্যবস্থা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাড়িতো ছাত্রদের অর্থায়নে কেনা ও তত্ত্বাবধায়ন করা হয়। এ খাতে সরকারের কোনো বরাদ্দ থাকে না।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
৯ মাস আগে
কড়া নিরাপত্তা ও পরিবহন বিধিনিষেধের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঢাকার রাজপথে নীরবতা
বাংলাদেশ জুড়ে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলছে, তখন ঢাকার সাধারণত ব্যস্ত সড়কগুলোতে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে। শহরজুড়ে দেখা গেছে নিরবতার ছোঁয়া।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী দলগুলো।
নির্বাচনের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা সাধারণ দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল।
ঢাকার বাসিন্দারা তাদের নিকটতম ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য হেঁটে বা রিকশা ব্যবহার করে গিয়েছেন। এমনকি অন্যদিনের তুলনায় রিকশার সংখ্যাও কম দেখা গেছে।
রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, বনানী, মহাখালী, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকার সড়কে টহল দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শহরে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শপিংমল, মার্কেট ও প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও আবাসিক এলাকার কিছু মুদি দোকান জনসাধারণের জন্য খোলা থাকতে দেখা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর এলাকায় ট্যাক্সি, পিকআপ ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
৯ মাস আগে
আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
আন্তঃজেলা বাসগুলো কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালসহ ঢাকার অদূরে নির্মাণ হতে যাওয়া টার্মিনালগুলো এবং ঢাকার অভ্যন্তরে পরিচালিত নগর পরিবহনগুলো সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা বাস প্রান্ত (টার্মিনাল) নির্মাণের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তাপস এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
শেখ তাপস বলেন, আমাদের যে বাস টার্মিনালগুলো আছে সেগুলো ৮০’র দশকে করা হয়েছে। তখন শুধু টার্মিনাল হিসেবে করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত ওই টার্মিনালগুলোকে ঘিরেই আন্তঃজেলা এবং সিটি বাস সব এক জায়গায় রাখা হতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সে প্রেক্ষাপটে এখন তা আর কার্যকর নয়। তাই বাস রুট রেশনালইজেশন কমিটির মাধ্যমে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, আন্তঃজেলা বাসগুলোকে ঢাকার বাইরে রাখতে হবে। আর ঢাকার মধ্যে যে টার্মিনালগুলো রয়েছে সেখানে শুধু নগর বাসগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
প্রাথমিকভাবে কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল চালুর এসব কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ভূমি উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা এখানে আরও কিছু কাজ শুরু করব। যেমন- সীমানা প্রাচীর দিতে হবে। কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসব। কী ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তারা সুষ্ঠুভাবে এখানে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে, সে বিষয় নিয়ে আলাপ করে আমরা অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ দেব।
তিনি বলেন, এই পুরো কাজ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নেই এখন পর্যন্ত আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। পরে দীর্ঘমেয়াদে যাতে করে আমরা একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারি, এরই মধ্যে আমরা সেসব পরিকল্পনা শুরু করেছি।
তাপস বলেন, আমাদের দুটো টার্মিনাল- একটি বাঘাইড়ে আরেকটি এই কাঁচপুর বাস টার্মিনাল। এই দুটো বাস টার্মিনালের জন্য আমরা পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। পরামর্শকের মাধ্যমে আমরা পূর্ণভাবে এই টার্মিনালগুলোর নকশা প্রণয়ন করব। পরে পূর্ণভাবে আমরা সেটা নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করব।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শুধু কাঁচপুরে বাস টার্মিনালই নয় সমন্বিত অনেক কার্যক্রম একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা যেমন বাস রুট রেশনালাইজেশনের কার্যক্রমের আওতায় যাত্রাপথগুলোকে নির্ধারণ করছি তেমনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আরও আধুনিক করছি এবং সেটার পরিসর বৃদ্ধি করেছি।
মেয়র আরও বলেন, আগামী বছর এটা চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার বাস আর সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে না। সেগুলো কাঁচপুরে চলে আসবে এবং তারা ঢাকা শহরের ভেতরে আর প্রবেশ করবে না।
তিনি বলেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার যানজট একটা সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। আর সুশৃঙ্খল যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় যে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করেছি, সেসব বাসে এই কাঁচপুর হতে ঢাকাগামী যাত্রীদের পরিবহন করবে। ফলে গণপরিবহন পূর্ণ রূপে শৃঙ্খলায় চলে আসবে।
মেয়র এ সময় চলমান ভূমি উন্নয়ন কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ এবং বাকি কাজ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান।
এছাড়াও সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণকাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসীকে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা প্রস্তুত: শেখ তাপস
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
১০ মাস আগে
সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
টানা দু'দিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এতে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-মিনিবাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, এই দুই দাবিতে গত দু’দিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় কোনো ধরনের গাড়ি চলবে না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির ডাকে এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এরপর ৮ জুলাই শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুলাই রবিবার রাতে সিলট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দু’দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কের যাত্রীরা। দুদিন ওই সড়কে ধর্মঘট পালনের পর এবার পুরো জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি ফের বৈঠকে বসে। এতে ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও একমত হয় নেতারা। এছাড়া, মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে বলেও ঐক্যমত হন তারা।
বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনাতা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
১ বছর আগে
সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে রবিবার সকাল থেকে বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি।
এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল সড়কে সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে এক বৈঠকে নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমনীনগরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সব পরিবহন শ্রমিক সংগঠন। সব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রোববার বিকালে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাচ্ছি।’
সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ জুলাই শনিবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি জানানো হয়। ছাঁটাইয়ের আগ পর্যন্ত রবিবার সকাল থেকে ওই সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, ‘সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট- তামাবিল মহাসড়কে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে অন্য যেকোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি তারা। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাস ও ইজিবাইকের (টমটম) সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
১ বছর আগে
সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, মামলা প্রত্যাহার ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে ২৯ মে থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জ নতুন বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানববন্ধনে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানালেও, প্রশাসন আমলে নেয়নি। তাই শ্রমিকরা মিলে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩ মে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুরোধে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তাদের কথা রাখেনি। তাই ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি সুজাউল কবীর, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বুরহান উদ্দিন, সহ সভাপতি মো. আনেয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মো. সুমন মিয়া।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
১ বছর আগে