ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও শিশুটি এখনো শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইব্রাহিম সোমবার দুপুরে স্কুলের টয়লেটে যায়। কিন্তু সে বের হওয়ার আগেই স্কুল ছুটি হয়ে যায় এবং টয়লেটের গেট তালা দিয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দুপুর প্রায় দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টয়লেটে আটকা পড়ে ছিল সে। পরে গ্রামের ছেলেরা স্কুলের মাঠে খেলার সময় ঘটনা টের পেয়ে প্রায় অচেতন অবস্থায় ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রহমতুল বারী রাসেল জানান, আতঙ্কে শিশুটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্কুল চলার বিধান থাকলেও দেড়টায় স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ইব্রাহিমের মা আঞ্জুয়ারা বেগম জানান, তার ছেলে এখনো হাত-পায়ে শক্তি পাচ্ছে না। কথা বলতে পারছে না, কিছু খাচ্ছেও না। ধরে ধরে প্রয়োজনীয় কাজ করাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে অসুস্থ ছাত্রের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন মল্লিককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।