এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একই সাথে আদালত বন সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং শ্যামনগর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা গত ৯ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ জুলাই কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ সুন্দরবনে যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০টি জবাই করা হরিণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এসময় শ্যামনগর থানার এসআই লিটন ও হাবিব, এএসআই মামুন ও ফজলুল করিম, কনস্টেবল আলমগীর, সাইফুল্লাহ ও উত্তম কুমার ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারি আ. সাত্তার মোড়ল, তার সহযোগী আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ, আকজান, ইউসুফ ও বাচ্চুকে আটক করে।
পরে বনবিভাগকে মামলা করতে না দিয়ে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন নিজেই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। সেখানে কেবল তিনটি হরিণ ও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়। আর আসামি করা হয় ছয়জনকে। এছাড়া শিকারকালে দুটি হরিণ রান্না করে খেয়ে ফেলে শিকারিরা।
এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক নয়া বার্তার সম্পাদক আবু বকর গত ২৫ জুলাই জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।