মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এ মুহূর্তে বেহাল সড়কের সংখ্যা অনেক কমে এলেও কিছু জেলা সড়কে সমস্যা আছে। কিছু কিছু সড়ক নির্মাণের তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। এ সকল সড়ক বর্ষার আগেই যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে। প্রয়োজনে রাতেও কাজ করতে হবে।
এসময় তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে নবনির্মিত সড়ক ভবনে স্বল্পতম সময়ে অধিদপ্তরের দাপ্তরিক কাজ শুরুর নির্দেশ দেন।
আগামী মার্চ মাসের প্রথমার্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু চালু হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঈদ-উল-ফিতরে জনগণের ঘরে ফেরা স্বস্তিদায়ক করতে ঈদের আগেই দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের’ আওতায় জয়দেবপুর হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। ঈদের আগেই চালু হতে যাচ্ছে এ মহাসড়কে নবনির্মিত কোনাবাড়ি, চন্দ্রা ফ্লাইওভারসহ দুটি রেলওয়ে ওভারপাস এবং চারটি আন্ডারপাস, যোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ঢাকা-সিলেট এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ সরকার গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। এ দুটি মহাসড়কের দুপাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা দুটি লেন নির্মাণ করা হবে। মেরিন ড্রাইভ প্রশস্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারে অবস্থানকালে পর্যটকদের বিনোদন সুবিধা বাড়ানো জরুরি। সড়কপাশে আলোকসজ্জাসহ মেরিন ড্রাইভের কলাতলী প্রান্তে ক্ষতিগ্রস্ত দুই কিলোমিটার সড়ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
সম্প্রতি একনেকে পাস হওয়া লিংক রোড থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত শুরু করার উদ্যোগ নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের পরিচালক সানাউল হক, সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-১ এর পরিচালক মো. ইসহাক এবং প্রকল্প-২ এর পরিচালক শাহরিয়ার আলম, ক্রস বর্ডার প্রকল্পের পরিচালক মো. আতিক, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মঈনুল ইসলামসহ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী সড়ক জোন, সার্কেল এবং ডিভিশনের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।