ওবায়দুল কাদের
হিরো আলমকে তাচ্ছিল্য করে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও বৈষম্যমূলক: টিআইবি
বিএনপির ছেড়ে দেয়া সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সর্বোপরি দেশের একজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের বা কারোরই এমন উপহাস করার কোনো অধিকার নেই বলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে জানা যায় যে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবমাননা ও উপহাসমূলক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।’ উল্টোদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘...এই আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার সঙ্গে জিততে হয়।’ দুই ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যসূচক বিবেচনায় পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন দুই নেতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক রীতি অনুযায়ী পরস্পরকে নিয়ে বিষোদ্গার নতুন কিছু নয়। কিন্তু সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের ব্যক্তি পরিচয় ও অবস্থাকে মানদণ্ড হিসেবে দাঁড় করিয়ে দুই দল একে অপরকে আক্রমণ করেছেন। সেই মানদণ্ড যে ইতিবাচক কিছু নয়, বরং এর মাধ্যমে আলম এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।”
তিনি বলেন, “পাশাপাশি দেশের ‘সাধারণ’ একজন নাগরিকের প্রতি দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এমন আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্থুলতাকেই জনসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করে।”
ড. জামান আরও বলেন, “সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং তার বয়স পঁচিশ বছর পূর্ণ হলে, কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত না হলে, দেউলিয়া না হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করলে বা আনুগত্য স্বীকার না করাসহ কিছু শর্ত পূরণে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন। সংবিধানের শর্ত পূরণের পরও আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকেই ভুলুণ্ঠিত করে না, বরং তার সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তরও বটে। ‘হিরো আলম নির্বাচিত হলে সংসদকে ছোট করা হতো’- এমন বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারন্তরে সংসদকে ছোট করা হয়েছে। কারণ, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা ও চর্চায় মানুষে-মানুষে বৈষম্যের প্রকাশ অগ্রহণযোগ্য।”
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি: ওবায়দুল কাদের
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক রাস্তা হচ্ছে, সেতু হচ্ছে, কিন্তু শৃঙ্খলা না থাকলে সাফল্য ধরে রাখতে পারবো না। এজন্য সড়ক ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসিদের সঙ্গে সংলাপের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনদিনব্যাপী জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের আজ ছিল দ্বিতীয়দিন।
ওবায়দুর কাদের বলেন, আমি ডিসিদের বলেছি, সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক অবকাঠামো হয়েছে। যেমন–পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, শতসেতু, শতরাস্তা, ওভারপাস, ফ্লাইওভার, এগুলো দৃশ্যমান। এগুলো নিয়ে সময় নষ্ট করতে চাই না। এগুলো সবাই দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলে আরও বেশি করে সবার জানান সুযোগ মিলবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু তাদের বলেছি, আমি এখন আর নতুন কোনো রাস্তা করতে চাই না। আগামী নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো রাস্তা হবে না। যে রাস্তাগুলো আছে, সেগুলো মেরামত ও সংরক্ষণ করা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ।’
আরও পড়ুন: দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিজেরাই সমাধান করবো: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আরেকটি বিষয় বলেছি, মোটরসাইকেলের মতো ছোটো ছোটো যানগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঢাকা শহরে মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি, ৯৫ শতাংশ। ঢাকায় একটি মোটরসাইকেলে দুজন থাকলে তাদের মাথায় হেলমেট থাকে, কিন্তু মফস্বলে তিনজন থাকলেও কারও মাথায় হেলমেট থাকে না।
তিনি জানান, আর আমি সচিবকে একটা কথা বলেছি, গরিব মানুষের জীবন যেমন আছে, জীবিকাও আছে। ওদের জীবিকার চাকা তো আমরা বন্ধ করে দিতে পারি না। কাজেই এগুলোকে একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা প্রণয়ন করতে হবে।
কাদের বলেন, ‘ডিসিদের দায়িত্ব হচ্ছে এসব গাড়িগুলো শহরে ও মহাসড়কে যে যানজটের সৃষ্টি করে, দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেখা গেল, একটি ইজিবাইক দুর্ঘটনা ঘটলে ১০-১২ জন মারা যান। সেটাও বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার হার কমলেও এতে মৃত্যুর হার কমছে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, আমি পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এতে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। অনেক রান্তা হচ্ছে, সেতু হচ্ছে, কিন্তু শৃঙ্খলা না হলে সাফল্য ধরে রাখতে পারবো না। এ ক্ষেত্রে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।
নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা বলতে সবকিছুকেই বোঝায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি না: কাদের
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
আ. লীগের পক্ষ থেকে খ্রিস্টীয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা ওবায়দুল কাদেরের
খ্রিস্টীয় নতুন বছরে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার অন্ধকার ও ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে বিরোধীদল ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলে আশা করে আওয়ামী লীগ।
রবিবার সকালে রাজধানীর সেতুভবনে মতবিনিময়কালে এ আশাবাদের কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালুর পর আজ পর্যন্ত ৪০৩ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটা সুখবর।
পরে সেতু ভবনে তিনি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতির পর্যালোচনা করেন।
এরপর মন্ত্রী সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং সেই দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বাঁচানোই আমাদের প্রধান এজেন্ডা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য অতি বাম, অতি ডান মিলে-মিশে একাট্টা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভালো আছি।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকায় আমরা ধৈর্যহারা হইনি। পথ হারাইনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির মাঠে সংঘাত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
এছাড়া সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনও সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের স্বপ্ন সফল হবে না। এছাড়া আমরা বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে আসবে, সব নিবন্ধিত দলকে আমরা স্বাগত জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে বলেছি। সম্পদকে সম্ভাবনার রূপ দিতে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব সংকটকালে জ্বালানি, ডলার, রিজার্ভ নিয়ে আমরা ভাবছি। পাকিস্তানে রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
সে তুলনায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি সংকটেও দিশেহারা হইনি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি।
এসময় তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমরা অশান্তি ও সংঘাত চাইনা। কাউকে উস্কানি দিতে চাইনা। বিএনপিসহ ৩৩ দলের গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। ওই ৩৩ দল ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার অবস্থার দল।
এছাড়া নিবন্ধিত সকল দলকে আমি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য স্বাগত জানাই।
কুটনৈতিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশনের আলোকে কুটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাতে পারেন না। আমরাতো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাই না।
এছাড়া আমাদের দেশের বিষযে বলার আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের কথাটা আলাদা, সেখানে এরশাদ সাহেবের প্রভাব আছে। তাদের প্রার্থীও প্রভাবশালী। আমরা একজন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছি। দলের অনেকে তার জন্য ভালোভাবে কাজ করেনি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রার্থী কম ভোট পেয়েছে। শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। আমরা বলবো গণতন্ত্রের বিপ্লব হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।
এছাড়া রংপুরের বিষয় এনে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যতবাণী করা যাবে না। হারজিত থাকবে। এটা ভোটের প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা লাগে। তাহলে মোট্রেলের বাড়া বেশি হলো কিভাবে। আমাদের কিছু বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। আপনাদের আজিজ কমিশন এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। সেটি কেউ ভুলেনি।
তিনি জামায়াতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জামায়াত সহিংসতা করলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বসে থাকবেনা। তারা সমুচিত জবাব দেবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টার যোগে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অবতরণ করেন।
এ সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
রংপুরে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নানা বিবেচনা হয়। জনমত জরিপেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিল। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যাও আছে। না হয় ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, মেয়র হবে লাঙ্গলের, দ্বিতীয় হবে নৌকা-রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিয়ে এমন ধারণাই ছিল অধিকাংশের। কিন্তু সব হিসাব উল্টে গেছে ভোটের ফলাফলে। নৌকার প্রার্থী চতুর্থ হয়ে জামানত হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: ভোট কক্ষে ২ জনের বেশি সাংবাদিক নয়
কাদের বলেন, ‘আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা ছিল। আমরাতো কেউ সেখানে যাইওনি। আমরা কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নেইনি। আমরা আগেই জানতাম এখানে এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখানে সরকারি দল থেকে কোন বাড়াবাড়িও হয়নি। আমরা পিছিয়ে আছি বলে জোর করে এগিয়ে যাওয়ার কোন চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে এখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে৷ আমি এটা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত করে দেখছি। আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি বড় রকমের। এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
দু-একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা
রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল: শেখ হাসিনা-কাদের পুননির্বাচিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুননির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার পর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টটিউশনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে দলটির নির্বাচন কমিশন।
এনিয়ে টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আর তৃতীয়বারের মতো দলটির সাধারণ সম্পাদক হলেন ওবায়দুল কাদের।
দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশনাররা হলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও মশিউর রহমান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
নির্বাচন কমিশন প্রথমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আহ্বান করেন। এসময় সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করা হলে দিনাজপুরের মোস্তাফিজুর রহমান এমপি সভাপতি পদে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন।এসময় সকল কাউন্সিলর সমস্বের তার প্রতি সমর্থন জানান।
পরে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। পরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরকে সমর্থন দেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়।
পরে নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে তারা আসন গ্রহণ করেন।
জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে সারাদেশের অন্তত সাত হাজার কাউন্সিলর অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের ৫১ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিরা বিজয়ের আনন্দকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম অংশ উদ্বোধন হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওরা সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে তার জবাব দেবো।
কাদের বলেন, বিএনপির মুখে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের কথা শুনলে হাসি পায়। যারা রাষ্ট্রকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছিল, তারা কিভাবে মেরামত করবে?
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা গেল না, গেল গরুর হাটে (গোলাপবাগ মাঠ)। তাদের সব স্বপ্ন কর্পুরের মতো উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আরেকটি চালান পৌঁছাল মোংলা বন্দরে
ইঞ্জিন-বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের একাদশ চালান
বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়। এরপর নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।
সাত বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়েছেন পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় অন্য নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা করেন।
এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। সম্মেলনে অর্ধলাখ মানুষের সমাগম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি কেনো সমাবেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে এবং তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো অপছন্দ, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।
বুধবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপি’র উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক - এই দু’জনকে পাক-হানাদার বাহিনী ও আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর -এই বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়।
জ্ঞান, গরিমা যাদেরকে ঘিরে সেই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেনো বিএনপি বেছে নিলো এটাই এখন প্রশ্ন?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে - যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে স্বধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বর যারা বিশ্বাস করে, সেখানেই পাক-হানাদার বাহিনী - মুক্তি বাহিনী, মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন - সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন বিএনপির অপছন্দ তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান। বিশাল জায়গা এখানে, আওয়ামী লীগের সব সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলন এখানেই হয়।
তাহলে বিএনপি কেনো তাদের পার্টি অফিসের সামনে ৩৫ হাজার স্কোয়ার ফিটের মতো একটা ছোট জায়গা সমাবেশের জন্য বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
তিনি আরও জানতে চেয়ে বলেন, পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বদ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে তারা এটা চায়?
আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এখনও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী