সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি, যেখানে কমিটি সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করেছে।’
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের নীতিগত বিষয় এবং আমাদের সুপারিশ আদালতের রায়কে লঙ্ঘন করবে না।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশনামাটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবে এবং সেখানে অনুমোদন পাওয়া গেলে গেজেট জারি করা হবে বলে জানান সচিব।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে আহ্বায়ক করে সরকার সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন, অর্থ বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, আইন বিভাগ ও পিএসসির সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।
সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় থাকা কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত এপ্রিলে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেন।
আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল সংসদে দেয়া ভাষণে সরকারি চাকরি থেকে সব ধরনের কোটা বাতিল করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে এখন পর্যন্ত কোনো গেজেট জারি করা হয়নি।
গত ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হাইকোর্টের রায় থাকায় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার করা সম্ভব নয়।