তারা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন রুটে ৬টি কোম্পানির বাস চালানোর প্রস্তাবনারও বিরোধীতা করেন। কেননা তারা মনে করেন, এতে বাস মালিকদের সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী দানবীয় আকার ধারণ করবে।
সকালে পরিবহন খাত নিয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) তার কলাবাগান কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, ক্যাব নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুর রহমান মল্লিক, মো সেলিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, সড়কে নৈরাজ্য, মৃত্যুমিছিল ও জনদুর্ভোগ ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোনোটিরই সুফল স্থায়ী হচ্ছে না। উপরন্তু শক্তিশালী পরিবহন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে জনদুর্ভোগ আরও বাড়ছে।
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে সরকার গঠিত কমিটির ১১১টি সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সাধারণ ও সচেতন মহলে রয়েছে বড় প্রশ্ন।
বক্তারা বলেন, পর্যাপ্ত মানসম্মত বাস না থাকায় মোটরসাইকেল, পাঠাও, উবারসহ বাড়ছে অন্যান্য পরিবহন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও পরিবহন ব্যয় বাড়ছে, বাড়ছে যানজট ও নৈরাজ্য।
এ অবস্থায় বক্তারা কিছু পরামর্শ দেন। এগুলো হলো-মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলায় ট্রাফিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট করতে হবে। তারা বাসের রুট নির্ধারণসহ সময়, গতি ও অন্যান্য পরিকল্পনা গ্রহণ করবে এবং জাতীয়ভাবে একটি কেন্দ্রীয় ট্রাফিক প্ল্যানিং এবং মনিটরিং ডিপার্টমেন্ট থাকবে। এই ডিপার্টমেন্ট সারাদেশে চাহিদা অনুসারে রেল, নৌ, সড়ক ও আকাশপথের সাথে সমন্বয় সাধন করে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন সেবার বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনাক্রমে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে মনিটরিং করবে।