হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির পুলিশ ২৪ জনকে আটক করলেও হামলাকারীদের সনাক্ত করতে পারেনি সরকার। খবর বিবিসি’র।
সিরিজ বোমা হামলায় দক্ষিণ এশিায়র এই দেশটিতে নিহতের মধ্যে কয়েক ডজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া হামলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশটিতে ২০০৯ সালে মর্মান্তিক গৃহযুদ্ধের অবসানের পর এমন ভয়াবহ সহিংসতা প্রত্যক্ষ করল।
এমন হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমসিংহে । এক টুইট বার্তায় তিনি শ্রীলংকার সকল নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্ত থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে গুজব বা মিথ্যা খবর ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সেবাগুলোয় অনেকে প্রবেশ করতে পারছেন না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
দেশটির প্রধান বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকা থেকে একটি হাতে বানানো বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।
যেভাবে হামলা হয়:
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যখন ইস্টার সানডে পালন করছিল তখন এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রথম হামলা হয় স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টায়। তিনটি গির্জায় অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে। যে গির্জাগুলোতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেগুলো কোচ্চিকাডে, নেগম্বো এবং বাট্টিকালোয়ায় অবস্থিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নেগম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জার ছাদ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং রক্ত ছড়িয়ে আছে।
এছাড়া রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণ হয়েছে।
শ্রীলংকা সম্পর্কে কিছু তথ্য:
ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা গত কয়েকশ বছর ধরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাধ্যমে। কিন্তু দেশটিতে বহু বছর ধরে তুমুল গৃহযুদ্ধ চলেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিজ এবং সংখ্যালঘু তামিলদের মধ্যে এ যুদ্ধ চলেছে দেশটির উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলে। ২৫ বছর ধরে চলা সে সংঘাতের অবসান হয় ২০০৯ সালে।
শ্রীলঙ্কার মোট আয়তন ৬৫৬০০ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা দুই কোটি বিশ লাখ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বৌদ্ধ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হিন্দু জনগোষ্ঠি যারা মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ। এছাড়া মুসলিম ১০ শতাংশ এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ৭ শতাংশ।