বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হিলি চেকপোস্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ১২ আগস্ট উদযাপন করা হবে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে ১০ আগস্ট শনিবার থেকে হিলি বন্দর ৮দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বন্ধের বিষয়টি ইতিমধ্যে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। আগামী ১৮ আগস্ট সকাল থেকে যথারীতি শুরু হবে বন্দরের সকল কার্যক্রম।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নুর আমীন বলেন, ব্যবসায়ীরা এই কয়দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও শুধুমাত্র ঈদ, জাতীয় শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিতে কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। এরপর থেকে অফিসিয়াল কাজকর্ম চলবে। এর বাইরে আমাদের অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুজ্জামান জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সকল ধরনের সরকারি ও বেসরকারি ছুটির আওতামুক্ত থাকে। তাই ঈদ বা অন্য কোনো দিবসের দিনেও এই পথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকে।