টাঙ্গাইলের জেল সুপার আবুল বাশার জানান, জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।
এর আগে টাঙ্গাইলে যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সোমবার আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
এর আগে ১৯ জুন হাইকোর্ট রানাকে স্থায়ী জামিন দেয়। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। ২০ জুন হাইকোর্টের আদেশ ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। ১ জুলাই আপিল বিভাগ ৮ জুলাই পর্যন্ত রানার জামিন স্থগিত করে এবং রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ১৪ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান রানা।
২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন।
পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদ, শাহাদত ও হিরণ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা সাবেক এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ফারুক জেলা শহরের নিজ বাসভবনের সামনে গুলিতে নিহত হন।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাহার আহমেদ মামলা দায়ের করেন।