তিনি বলেন, ‘বুধবার প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে দেশে হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার নেই। এর আগে সাগর-রুনি ও তনুর হত্যাকারীদেরও বিচারের আওতায় আনা হয়নি।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেত্রী আরও বলেন, সুশাসন ও বিচার না থাকায় হত্যাকাণ্ড, অপহরণের মতো এ ঘটনাগুলো এখন বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে, এছাড়া বিচার বিভাগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আইন প্রয়োগকারীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, কারণ সরকার তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।
সামাজিক অপরাধের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় সেলিমা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্র- ছাত্রীরা এখন তাদের শিক্ষক দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছে। আমাদের মেয়েরা এবং নারীরা এখন শিক্ষকদের ভয় পায় কারন তারা এখন নেকড়েদের মতো হিংস্র ব্যবহার করছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কয়েকদিন পরেই ন্যায়বিচার আড়াল হয়ে যাচ্ছে। নুসরাত-হত্যা মামলাও এখন তার বিচারের গতি হারিয়ে ফেলেছে। আমরা গত ১০ বছরে এরকম কোনো ঘটনার কোনো ন্যায় বিচার দেখিনি।’
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে সেলিমা রহমান বলেন, দেশে খুন, অপহরণ ও ধর্ষণের উৎসব চলছে।
এ অবস্থায় তিনি জেল থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং ‘দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে’ কঠোর আন্দোলনের জন্য দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।