তিনি আরও বলেন, ‘তারা এখন নিজেদেরকে প্রভু ভাবতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রের প্রভু তারা, সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।’
‘ভিন্ন একটা রাজনৈতিক দল কিভাবে চলবে এটাও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অথচ সংবিধানে খুব পরিষ্কারভাবে সকল দলকে সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদের অধিকার দেয়া আছে,’ যোগ করেন বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সভা-সমাবেশ করার অনুমতি চাইনা, আমরা অবগত করি। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করলে পিডব্লিউডি, সড়কে করলে পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ সরকার যেটা করছে সেটা গ্রাম্য মোড়লের কায়দায়।’
‘সরকার অনুমতি দিতে টালবাহানা করে। সভা সমাবেশের দুঘণ্টা আগে অনুমতি দিয়ে থাকে। এতে সমাবেশ সফলভাবে করা খুব কঠিন,’ যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সচিবালয়ে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিএনপি সভা সমাবেশ করবে বিষয়টি আমার কাছে হাস্যকর। অনুমতি ছাড়া তাদের (বিএনপি) সভা-সমাবেশ করার সাহস, শক্তি বা সক্ষমতা আছে কি না আমার প্রশ্ন আছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে প্রভু বনে গিয়েছিলো। আবার এখন ১০ বছরে ধরে দেশে প্রভুত্ব করছে। এখন তারা পাকাপোক্ত প্রভু হিসেবে বসতে চায়। যেটা তাদের মানসিকতার সমস্যা। গণতান্ত্রিক চেতনা তাদের মধ্যে নেই। তারা নিজেদের রাজা-বাদশা ও প্রভু ভাবতে শুরু করেছে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নূরে সাহাদাত স্বজন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার নূর করিমসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।