মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
আগামী নির্বাচন হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে: ফখরুল
সার্বিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস। তাই সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে আর নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় মতামত সংস্কার কমিশনকে দিয়েছি। এ বিষয়ে আগামীতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও একসঙ্গে বসবে।’
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিতে পরামর্শ ফখরুলের
চীন সফর অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সাফল্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করেছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী দিনেও তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগ করবে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাবাদী।’
ফখরুল জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় আছে। তবে বিএনপির প্রধান কাজ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। এছাড়া নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার বিএনপির সমর্থন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তারা সংস্কার কমিশন তৈরি করেছেন। সেই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যথাযথভাবে পর্যালোচনা করছি।’
১৫ দিন আগে
সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিতে পরামর্শ ফখরুলের
অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের অপসারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত সেইসব উপদেষ্টাদের অপসারণ করা, যারা তার সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।’
রবিবার (৩০ মার্চ) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের আগে সরকার নিরপেক্ষতা হারালে বিএনপি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা সরকারের পূর্ণ নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করি, বিশেষ করে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে। যদি তিনি অনুভব করেন যে তার মন্ত্রিসভার কেউ নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন, তবে তাদের অপসারণ করা উচিত। তাকে (ড. ইউনূস) সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকতে হবে।’
‘যদি প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হবে যে, এ সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের হতাশ করেছে। কিছু উপদেষ্টার কার্যক্রম দেখে আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি।’
তার অভিযোগ, ‘সরকারের কিছু উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি সম্পদ অপব্যবহার করছেন, যা নিরপেক্ষতার পরিপন্থি এবং এটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করছে।’
‘সরকারি সম্পদ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা স্পষ্টভাবে নিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন।’
এই বিএনপি নেতার মতে, এসব কর্মকাণ্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখনও একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ দেননি, যা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহায়ক হতে পারত। একটি নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ থাকলে চলমান রাজনৈতিক সংকট প্রশমিত হতো এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতিতে মনোযোগী হতে পারত।’
১৭ দিন আগে
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, রাষ্ট্র্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ক্রিশ্চিয়ান বেক।
আরও পড়ুন: জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি
বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
‘নির্বাচন, অর্থনৈতিক ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন; আমরা তা বলেছি।’
৪৯ দিন আগে
আগে জাতীয়, পরে স্থানীয় নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচন সবার আগে, তারপরই স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভায় বসেছিলেন কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে তিনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। সংস্কার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আলোচনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দলগুলো কমিশনগুলোর সঙ্গে কথা বলবে, এরপর একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এটিই ছিল আজকের (বৈঠকের) মূল কথা ও প্রাথমিক আলোচনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে কথা বলেছেন। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য ঐকমত্য তৈরি হবে; সেটার ওপর ভিত্তি করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
জাতীয় নাকি স্থানীয় নির্বাচন—কোনটি আপনারা আগে চাচ্ছেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন সবার আগে হতে হবে, তারপরে স্থানীয় (সরকার) নির্বাচন।’
৬০ দিন আগে
আগামী নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের মনোনয়ন না দিতে সতর্ক থাকবে বিএনপি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ঋণখেলাপিকে মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি সতর্ক থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, খেলাপিরা মনোনয়ন যেন না পান তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট থাকব। এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকব।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত 'শ্বেতপত্র ও অতঃপর : অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব খর্ব করতে ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার প্রস্তাব বিএনপি সমর্থন করবে কি না— অধ্যাপক রেহমান সোবহানের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে কাজ করছে তার দল। তবে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলেও স্বীকার করেন এই রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে: বিএনপি
দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক মীমাংসায় বিশ্বাস করি। এখন আমাদের প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পুনর্গঠন করা। যথেষ্ট হয়েছে। আসুন, আমরা সত্যিকার অর্থে আমাদের স্বপ্ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলি।’
ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজি নই।’
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপি কেন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিশ্বাস, কেবল নির্বাচিত সরকারই দেশের সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান দিতে পারে। যেহেতু নির্বাচিত সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাই জনগণের সমস্যা সমাধানে তাদের সক্ষমতা থাকে।
ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই আশা করছেন ছয় মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সব পেরে যাবে, যা আসলে সম্ভব না। এজন্য আমরা নির্বাচনে বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের সংসদে কখনো গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে দুই বছর আগেই বলেছি। এজন্য বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার। আমরা রাজনৈতিক সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। অনেকে এই গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি বলব এটা গণঅভ্যুত্থান। এজন্য আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি।’
বিএনপি কী ধরনের সংস্কার চায় সেই প্রসঙ্গে এই রাজনীতিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি হতে পারবেন না। সংসদ দুই কক্ষবিশিষ্ট হবে। যারা নির্বাচন করেন না কিন্তু তারা যেন দেশ চালানোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন—এ ব্যবস্থা করব।’
‘আমরা বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করব। এজন্য নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পারবো না এ কথা বলা যাবে না। আমরা জনগণের কাছে ঐক্যবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সংকট সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চীন ও ভারতের সঙ্গে আলোচনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া তাদের অগ্রাধিকারে ছিল না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি যদি ক্ষমতায় ফেরে, তবে অতীতের মতো রোহিঙ্গা সংকটের যথাযথ সমাধান খুঁজে বের করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
৮৮ দিন আগে
শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে: বিএনপি
শতাধিক পণ্যের ওপর যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, সেটিকে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এতে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করছে দলটি। যদিও অন্তবর্তী সরকারের দাবি, এতে ‘ন্যূনতম’ প্রভাব পড়বে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যে ভ্যাট ও পরোক্ষ কর বাড়িয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।’
দেশের চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। কিছু কিছু পণ্যের ওপর থেকে কর অব্যাহতিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য, পোশাক, ওষুধ ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা ফখরুলের
এতে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষ্যে, ‘বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্তদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হবে।’
এসব ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফখরুল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে সরকার যাতে অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন খরচ কমিয়ে দেয়, অন্তবর্তী সরকারকে সেই পরামর্শও দিয়েছে বিএনপি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জবাবদিহিতামূলক একটি প্রশাসনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা।’
এর আগে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। যেমন মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। আবার পোশাক–পরিচ্ছেদের দামও বাড়তে পারে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে।
এছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্যের।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশ দুটি হলো— মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
তবে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে ১২ জানুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর খুব বড় প্রভাব পড়বে না। এ প্রভাব হবে খুবই ন্যূনতম। এ বছর (অর্থবছর) পাঁচ মাসে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না যে কিছু প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আমরা মনে করছি, এটি খুবই ন্যূনতম (মিনিমাম) হবে। আমরা মনে করি না যে এটা খুব বড় প্রভাব (ম্যাসিভ ইমপ্যাক্ট) হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, সরকার চাচ্ছে অর্থনীতির স্বাস্থ্যটা স্থিতিশীল করতে, ঠিক করতে; এটি দেশের জন্যই ভালো হবে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৮৮ দিন আগে
দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই সংস্কারের পক্ষে। দুর্ভাগ্যজনক, কেউ কেউ বলছে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এই কথাটা সঠিক না। আমরা বার বার বলছি- একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন তা বিএনপি চায়।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন একটি প্রধান ফটক। আমরা সব সময় গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে। তার জন্য আমরা কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করব। একইসঙ্গে আমরা মনে করি জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু চাপিয়ে করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যাটা হলো, এ দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি। এ সংস্কৃতিই গড়ে ওঠেনি।’
‘বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত জটিল রাজনৈতিক সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আজকে যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে- ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন। জাতিগতভাবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হচ্ছে। খুব ভালো হতো, যদি আমরা প্রথম থেকেই এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে সামনে এগুতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান মির্জা ফখরুল
বক্তব্যের একপর্যায়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খুব জরুরি কথা, আমরা যেন একাত্তরকে কখনও ভুলে না যাই। একাত্তরের পর থেকে গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক যে লড়াই-সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের প্রত্যেককে আমাদের মনে রাখা দরকার। সেই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ছাত্রদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আজকে আমরা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’
সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান ড. আলী রিয়াজের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রিয়াজ বলেছেন তার কাছে এক লাখের বেশি প্রস্তাব এসেছে। শুনেছি, এ প্রস্তাবগুলো তৈরি করে তারা সরকারের হাতে তুলে দেবেন, সরকার তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে।
‘উনারাই (রিয়াজরা) যদি প্রথমে পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সঙ্গে বসতেন, সেটা আরও ভালো হতো। আমার কাছে মনে হয়। তারা গভর্মেন্টের সঙ্গে বসবেন, আরও আলোচনা হবে। আমার কাছে মনে হয়, যত সময় বাড়বে, তত আমাদের সমস্যা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আসল প্রবলেম তো অন্য জায়গায়। এগুলো বাস্তবায়ন করবেন কাদের দিয়ে? প্রশাসন, গভর্মেন্ট মেশিনারি, এগুলো তো এখনও ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে। এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। একটা ফাইলও নড়ে না। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ফাইল কোথায় আটকে আছে দেখবেন? ওখানেই আটকে আছে। এই বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে আমাদেরকে লড়তে হবে।’
মাইন্ডসেট একটা বড় জিনিস এমন মন্তব্য করে তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, উনি একটা বক্তব্য দিয়েছেন খুব ভালো লেগেছে যে একটা বন্দোবস্ত তো ছিল, টাকা দেবো কাজ করিয়ে নেবো। ভালো সমস্যা নেই। এখন তো আপনি অন্য সিস্টেমে যাচ্ছেন। সেই মাইন্ড সেটটা তো তৈরি করতে হবে। ওই মাইন্ড সেটের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। ভুল-ত্রুটি হবে কিন্তু ওর মধ্য দিয়েই ডেমোক্রেটিক সিস্টেমকে এগিয়ে নিতে হবে। সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল
১১০ দিন আগে
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১২৩ দিন আগে
জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান বিএনপির
গত কয়েকদিনে দেশে ঘটে যাওয়া বেশকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বিশেষ করে গত কয়েকদিনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ইসকনকে ঘিরে সৃষ্ট সমস্যা, কিছু কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে আমাদের দলের উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে অতিদ্রুত এই বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করবেন এবং দেশে যেন কোনো রকম অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হবে। আমরা বলে এসেছি, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।’
বিএনবি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোকে মোকাবিলার জন্য আমাদের বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা স্ট্যাবিলি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বলেছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি
১৪০ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১৪৭ দিন আগে