মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১ সপ্তাহ আগে
জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান বিএনপির
গত কয়েকদিনে দেশে ঘটে যাওয়া বেশকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বিশেষ করে গত কয়েকদিনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ইসকনকে ঘিরে সৃষ্ট সমস্যা, কিছু কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে আমাদের দলের উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে অতিদ্রুত এই বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করবেন এবং দেশে যেন কোনো রকম অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হবে। আমরা বলে এসেছি, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।’
বিএনবি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোকে মোকাবিলার জন্য আমাদের বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা স্ট্যাবিলি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বলেছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি
৩ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১ মাস আগে
আস্থা ফেরাতে নির্বাচনি রোডম্যাপ দিন: অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশ চালানোর দায়িত্ব আপনাদের (উপদেষ্টাদের) নয়। দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করুন এবং রাজনীতিবিদদের এই কাজটি করতে দিন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি আরও বলেন, তাদের দল ইতোমধ্যে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর কাছে তাদের প্রস্তুত করা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে, যা দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে যথেষ্ট হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখান থেকে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটা গ্রহণ করবেন আর কোনটা বাতিল করবেন, কিন্তু সর্বোপরি পর্যন্ত আসল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন করা।’
তিনি বলেন, ‘একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন এবং আপনি কখন কী করবেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। সেটা করতে পারলে মানুষের আস্থা থাকবে। জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়, কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়।’
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
১ মাস আগে
উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন থাকবেন, উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা- এসব বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন দেখেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষ্য, ‘উপদেষ্টা কতজন হবেন তার যেহেতু সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই, সেক্ষেত্রে এটা তারা প্রয়োজন অনুযায়ী করবেন।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫২ জনকে নিয়েও (অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক) সরকার হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত তারা ২১ জনকে (উপদেষ্টা) করেছেন। এত বড় একটা দেশ পরিচালনার জন্য এটি হতেই পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় দরকার নেই।’
‘তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে সমন্বয় করতে পারেন। আর তারা কাকে উপদেষ্টা বানাবেন বা বানাবেন না- এটা সম্পূর্ণরুপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনুসের বিষয়। তবে নির্দিষ্ট বিধান না থাকলেও উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নেবেন, তারা যাতে বিতর্কিত না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে আমি অনুরোধ করব।’
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
আওয়ামী লীগ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যাথা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে। কারণ বর্তমানে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে, তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ দেয়নি।’
‘তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সংস্কার করার জন্য একটি কমিটি করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আমাদের চিঠিও দিয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এ নিয়ে আমরা খুব শিগগিরই আমাদের মতামত দেব।’
বাংলাদেশে বর্তমান প্রক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার আগে নির্বাচনি ব্যবস্থাপকে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা- এ বিষয়গুলো আমরা বলেছি। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং সব কিছুর জন্য একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত পার্লামেন্ট অত্যন্ত জরুরি। সে কথাটিই আমরা বারবার করে বলছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামীলীগ যে কাজটা ভালভাবে করেছে, সেটা হলো জাতিকে বিভক্ত করা। এই বিভক্তি দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। একটি গণতান্ত্রিক দেশে মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে, কিন্তু কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐক্য থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার। সেই ঐক্য রাখতে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। এ আন্দোলনকে বেগবান করতে আমরা ৬৩টি দল আন্দোলন করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৭ বছরের একটা জঞ্জাল সরানো ১৭ দিনে সম্ভব না, ১৭ মাসেও না। এর জন্য আপনাদের যারা আছেন তাদের দায়িত্ব কম। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসবে তখন সেই পার্লামেন্ট এই কাজগুলো করবে। এ (বর্তমান) সরকারের মূল দায়িত্ব হবে, নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। সকলেই যেন ভোটে অংশগ্রহণ করে ভোট দিতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জায়গাগুলোতে নিরপেক্ষ লোকজন বসানো, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিরপেক্ষ করা।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
তার আগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
১ মাস আগে
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, যার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা হাতছাড়া করা যাবে না। হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) লালমনিরহাটের বড়বাড়ী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শপথ নিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার একটি সংকটময় মুহূর্তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এ জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সহযোগিতাও করতে হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
১ মাস আগে
কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কেউ যেন আবার চিন্তা না করে। অথবা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রে যেন লিপ্ত না হন।
স্মরণসভায় তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিরাজনীতিকরণে এবং মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সেই পথ অনুসরণ করার কথা চিন্তাও করা উচিত নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নানাভাবে ভাঙার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও পারবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত মন্তব্য করে বলেছেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে অস্থির। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তার মতো কোনো ব্যক্তি এ ধরনের মন্তব্য করবেন তা আমরা আশা করি না।’
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, 'ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং আমরাও আমাদের কাজে ফিরতে চাই।’
ফখরুল বলেন, রাজনীতিবিদরা শুধু ক্ষমতায় ফেরার আকাঙ্ক্ষাই করেন না, তারা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কবল থেকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পক্ষে পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ সরকার নির্বাচন যত দীর্ঘায়িত করবে, হাসিনা ও তার দোসরদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলতে চাই, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করুন। আপনাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। এখন, আপনাদের আমাদের সহযোগিতা করা উচিত। আমরা ক্ষমতায় ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি বলে দাবি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির লক্ষ্য আবার ক্ষমতায় আসা, তার নেতাকর্মীরা দেশ পরিচালনা ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কীভাবে নির্যাতন সয়েছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন তা বর্ণনা করে ফখরুল বলেন, বিএনপির অপরিসীম ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বা দলের সমালোচনা হতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ‘কাউকে এটা করতে দেবেন না। এটা মাথায় রাখুন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনও সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি বলেন, 'আমরা এক ভয়ংকর দানবের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু স্বস্তি নেই, কারণ মনে হচ্ছে জনগণের সরকার এখনও প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় আমরা এখনও আটকা পড়েছি।
ফখরুল বলেন, তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দিয়েছেন, যারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধান করবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তাকে সব সময় শ্রদ্ধা করেন এবং আমরাও তাকে শ্রদ্ধা করি। সারা বিশ্ব আপনাকে (ইউনূস) সম্মান করে। বিশ্বব্যাপী আপনার বিশাল খ্যাতি রয়েছে এবং এটি বজায় রাখা এখন আপনার প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আপনাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে, যার অর্থ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিদেশে সরকারি অর্থ লুটপাট ও পাচার করে দেশ ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের মনোবলের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এবং এখন ব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য অফিস পর্যন্ত চোর সর্বত্র।
তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতিগঠন ও বিএনপিকে শক্তিশালী করতে সাদেক হোসেন খোকার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ফখরুল বলেন, খোকা এমন একজন রাজনীতিবিদের চেতনার মূর্ত প্রতীক, যিনি তার কর্মীদের সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহজবোধ্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় ও রাজনৈতিক সংকটে খোকার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতার অভাব তারা অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১ মাস আগে
প্রশাসন থেকে ‘ফ্যাসিবাদের ভূত’ সরানোর উপর নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য: ফখরুল
প্রশাসন থেকে 'ফ্যাসিবাদের ভূত' নির্মূল করা না গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরেন।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের ‘ভূতের’ মদদেই ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। তাদের সহায়তায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। এখনো সেসব ভূত প্রশাসনে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এসব ভূত নির্মূল করতে হবে; অন্যথায় আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই সময় দেব, তবে তা হতে হবে যৌক্তিক। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই সরকার অবশ্যই জাতির নেতৃত্ব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরাজনীতিকরণ সমর্থন করি না। আমরা 'মাইনাস টু' ফর্মুলার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করি, পাশাপাশি মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানকেও প্রত্যাখ্যান করি। আমরা সত্যিকার অর্থে দেশে সুস্থ, উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ফখরুল আরও বলেন, 'এজন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা যোগ্য ও সক্ষম এবং আমরা তাদের দ্রুত গতিতে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা কখনো ব্যর্থ হইনি। ১৯৫২, '৬৯, '৭১ সালের যুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বর্তমানে আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইনশাল্লাহ এবারও আমরা বিজয়ী হব।’
শিক্ষক জাতীয়করণ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, 'শুধু জাতীয়করণ দিয়ে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে থাকতে হবে; তা না হলে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু আমি জানি আওয়ামী লীগ পিয়ন থেকে শুরু করে গভর্নিং বডির সভাপতি পর্যন্ত সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যারা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত, শিক্ষিত এবং একটি পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম, তাদের আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি এটি আন্তরিকভাবে করা হয়, তবে পরিবর্তন আসবে; অন্যথায় তা অধরাই থেকে যাবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশে নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব এবং এদেশে সত্যিকারের জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করব। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ও তারেক রহমানের স্বপ্ন আমরা পূরণ করব।’
সভায় চৌধুরী মুগিস উদ্দিন মাহমুদ, জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
২ মাস আগে
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মতে তখনই এ ক্ষমতা দেওয়া দরকার, যখন মনে হবে সংবিধান নিয়মের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এ সংবিধান এখনও ভালো আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাই সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেখানে সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মানে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করা। সে কারণে আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করব বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবেন এবং কখনই তারা এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না, যাতে রাজনৈতিক বা সমগ্র দেশের মানুষের অকল্যাণ বয়ে আনে।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব ভিআইপি হলরুমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী, এই অন্তবর্তীকালীন সরকার সব জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যে পরিবেশে সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের একটা পার্লামেন্ট তৈরি হবে। সংস্কার আমরা চাই। আমরা মানুষের উপর যাতে অন্যায়-অত্যাচার না হয় সে অবস্থা দেখতে চাই। এখানে আর যেন শিশুদের উপর গুলি করে হত্যা করা না হয়। আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের তালিকা তৈরি করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বিষয়টি আমার কাছে খুবই হৃদয় বিদারক। আজকে এ অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আছেন। অনেক বাবা এসেছেন যারা তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন। তারা জানেনা যে তাদের ছেলে কী কারণে শহীদ হয়েছেন। এখানে অনেকেই আছেন যাদের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এই স্বাধীন দেশে আমাদের এ বিষয়টি দেখতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দল। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এখন নেই। এখন অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। তারা চেষ্টা করছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ের বিচার করতে। এ অপরাধের যিনি মূল হোতা শেখ হাসিনা, যার নির্দেশে হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ২০১২ সাল থেকে এ জাতীয় হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে এ অবস্থার মোকাবিলা করছি। আমাদের দলের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। হাজার-হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এখানে যারা বসে আছেন কেউ বাদ নেই যাদের নামে ৮/১০টি মামলা হয়নি। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। আমাদের দলের সভানেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজাপ্রাপ্ত করিয়ে দেশের বাইরে রেখেছেন।
শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কতজনকে ব্যবসা হারাতে হয়েছে, জমি হারাতে হয়েছে। চাকরি হারাতে হয়েছে তার হিসাব নেই। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
জেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার সাহায্য দেন মির্জা ফখরুল।
৩ মাস আগে
‘শান্ত থাকুন’: দেশবাসীর প্রতি ফখরুলের আহ্বান
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জনগণকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার মির্জা ফখরুলের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমি দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কেউ যেন জনগণ ও সম্পদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
৪ মাস আগে