সোমবার দুপুরে জেলা শহরের তমালতলা এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রবিবার নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন।
‘নিকলী থানার এসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে ধানের শীষের নির্বাচনী কেন্দ্র খোলা যাবে না,’ এমন অভিযোগও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, নিকলী থানায় ছাতিরচর ইউনিয়ন বিএনপির ৩৫ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ৭১/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বাজিতপুর উপজেলায় ২২ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা গজারিয়া ও বাংলাবাজার এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে। সমগ্র বাজিতপুরে সরকার দলীয় কর্মীরা শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের পোস্টর ও স্টিকার ছিঁড়ে ফেলেছে। সাধারণ ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে সেজন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলেছে।
প্রার্থী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযুক্ত এসআইকে প্রত্যাহার, ক্যাম্প ভাঙচুর, পোস্টার ছেঁড়া, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদান ও হয়রানি বন্ধসহ ৮২টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন জানানোর পরও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এমতাবস্থায় গত ২২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং অফিসার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিকলী বাজিতপুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাজিতপুর সার্কেলকে অনুলিপি দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ এর ৬টি আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার বিএনপির শত শত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কিশোরগঞ্জ-আসনে সদর উপজেলার ১২ জন নেতা-কর্মীসহ জেলায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া,আশফাকুল ইসলাম, নাজমুল আলম, বিএনপি নেতা অসীম সরকার বাঁধন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন মিঠু, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।