রবিবার হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে করা খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
অন্যদিকে এর আগে সোমবার (২৯ অক্টোবর) পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন বিশেষ জজ আদালত।
খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা নিম্ন আদালত থেকে, এমনকি হাইকোর্ট থেকেও ন্যায়বিচার পাইনি, আশা করছি আপিল বিভাগ থেকে আমরা বিচার পাব।’
তিনি আরও বলেন, কাল বিশেষ জজ আদালতের রায় নির্ভর করছে আপিল বিভাগের আদেশের ওপর।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার কার্যক্রম চলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা রিভিশন আবেদন খারিজ হয়ে যায়। খারিজ হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। এরপরই এই মামলার রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত।
মামলাটির অপর তিন আসামি হচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর একান্ত সচিব (পিএস) জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত এক আদেশে বলেছিলেন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম চলবে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালত স্থানান্তর করে ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি কক্ষে।
পরদিন কারাগারের এই অস্থায়ী আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়াকে সেখানে হাজির করা হয়। সেদিন বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে অভিযোগ করেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। একই সঙ্গে এই আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, যা খুশি রায় দিয়ে দেন, আমি আর আসতে পারবো না।
২০১১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।
বর্তমানে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজা দেন বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগারে আটক আছেন তিনি।